[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যুকাপ্তাইস্থ ১০আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক অসহায় পরিবারকে হাঁস বিতরণবিএনপি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না, বাঘাইছড়িতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পরীক্ষার্থীর মাঝে পানি, ওরস্যালাইন বিতরণ করলো ছাত্রদলবৈসাবী উৎসব উপলক্ষে আলীকদম ৫৭ বিজিবি কর্তৃক আর্থিক অনুদান প্রদানরাঙ্গামাটিতে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় আটক-১রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য আলীম বহিষ্কারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় কোটিপতিকে দেয়া হল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত হতদরিদ্রের ঘর

৬৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলায় হতদরিদ্রের জন্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ স্বচ্ছল পরিবারকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ‘জমি আছে বাড়ি নেই’ প্রকল্পের ঘর স্বচ্ছল ব্যক্তির নামে বরাদ্দ প্রদান করায় এলাকায় অনেকের মনে ক্ষোভ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের হিমছড়ি পাড়ার স্বচ্ছল ব্যক্তি মৃদুল কান্তি দাশকে হতদরিদ্রের ঘর দেয়া হয়।

জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে লামা উপজেলায় ১৫টি হতদরিদ্র পরিবারকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্প টি-আর, কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ বরাদ্দ দেয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জমি আছে বাড়ি নেই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ঘর সমূহ ইতিমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সরজমিনে আজিজনগর ইউনিয়নের হিমছড়ি পাড়ায় গিয়ে দেয়া যায়, মৃদুল কান্তি দাশ সরকার হতে প্রাপ্ত ঘরটির চারপাশে বিশাল প্রাচীর দিয়ে তিনতলা ফাউন্ডেশনে ১০/১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ঘর নির্মাণ করছে। হিমছড়ি এলাকার তার অনেক জায়গা জমি ও খামার বাড়ি রয়েছে। মৃদুল কান্তি দাশ সরকার হতে যে ঘর পেয়েছে সেটা যেন দেখা না যায় সেই জন্য ঘরের চারপাশে বিশাল প্রাচীর দেয়া হচ্ছে। এখনো বাড়ির কাজ চলমান রয়েছে।

আজিজনগর ইউনিয়নের মোঃ মাসুম নামে এক ব্যক্তি ফেইসবুকে লিখেন, “ঊনি (মৃদুল কান্তি দাশ) বর্তমানে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি। তাই হয়তো ঊনিই পেলেন। কারণ এখন তো ক্ষমতা যার রাজত্ব তার। এলাকায় উনার এখনো হিসেব করলে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আছে। যাহা আপনি জানেন না। হিমছড়িতে সবাই একনামে চিনেন মৃদুলের খামার বললে।

এ ব্যাপারে মৃদুল কান্তি দাশের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকার আমাকে হতদরিদ্র মনে করেছেন, তাই আমাকে ত্রাণের ঘর দিয়েছে। এখন আমি ঘরটিকে আরও সুন্দর ও রুচিসম্মত করে ফাউন্ডেশন ছাদ আর গেইট দিয়ে মজবুত করেছি। তবে স্বচ্ছল ব্যক্তিকে ঘর দেওয়ায় এলাকার অনেকে মনে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয়রা আরো বলেন, ঘরটি একজন দরিদ্র মানুষকে দিলে আমরা খুশি হতাম। এলাকাবাসী দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মজনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি সত্য হলে তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ই-পিসি/আর