[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ

আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি: ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন

৮৮

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে হেয় হওয়ার ঘটনায় থানা অভিযোগ দেয়ার পরও মামলা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি অথচ আমিই আইনী সহায়তা পাচ্ছি না। শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ উত্তাপন করেন।

সকাল ১১ টায় প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম তার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন মিলে গত ১৯ আগষ্ট রাতে আলম ডকইয়াডস্থ বাসায় অতর্কিত ভাবে প্রবেশ করে তাঁর শ্লীলতাহানিসহ মারধর এবং ছোট্ট মেয়েকে নির্যাতনের চেষ্টা করে। মেজবা উদ্দিন, হাবিবুর রহমান বাপ্পি, কায়সার আহম্মেদ ও ইমরুল উদ্দিনসহ ১০/১৫ জনের দল মিলে দরজা বন্ধ করে ছুরি ও রড দিয়ে আঘাত করে। বাসার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে মেয়ের ছবি ধারন করার চেষ্টা করে মেজবা উদ্দিন। সে দীর্ঘ ১ থেকে দেড় বছর ধরে আমার নাবালিকা মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছে। এ ঘটনায় পরের দিন চার জনকে দায়ি করে থানায় অভিযোগ করলে অদ্যবদি এটি মামলা আকারে নেয়া হয় নাই। পরে অভিযুক্তরা ২৪ আগষ্ট রাত ৯ ঘটিকার সময়ে আবারো বাসায় প্রবেশ করে উশৃঙ্খলভাবে গালিগালাজ করে এবং আওয়ামীলগের জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদার,এমপি’র নাম ব্যবহার করে ১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে বাসা ছাড়িয়া দিতে বলে না হয় বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকী প্রদান করে। পরে দলের পদস্ত নেতাদের সাথে আলোচনা করে ২৫ আগষ্ট আবারো তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন এর ছত্রছায়ায় অভিযুক্তরা লালিত পালিত। এ বিষয়টি নিয়ে সুজন তাকে হুমকী দেয় এবং যা হয়েছে চুপ থাকার জন্য বলে, না হয় আরো নির্যাতন ও সম্মানক্ষুন্ন হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে জানায়। এ অবস্থায় আইনানুগ ব্যবস্থাসহ তিনি ও তাঁর মেয়ের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, নাসরিন বলেন, পুলিশ কি কারনে অভিযোগ মামলা আকারে নিচ্ছেননা জানিনা। অভিযুক্তদের বিষয়ে কোন উদ্যোগও গ্রহন করছেন না। তিনি বলেন আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি অথচ আমিই আইনী সহায়তা পাচ্ছি না।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন বলেছেন, তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষেরই অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক সময়ে বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামীলীগে তিনি অনুপ্রবেশকারী। তাঁর ভগ্নিপতি জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত।

ই-পিসি/আর