[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৩২

১৮৭

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও অবাধ্য জীবানু করোনার অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৩২ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো….

মা’জননীগো এই শোকের মাসে বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ট সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহতদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ভালোবাসা রইলো। পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে এরইমইধ্যে নতুন যোগ হইয়াছে করোনা। এমনিতে দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদ দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। মনে হইতেছে খানিক দম লইয়া যোগ-বিয়োগ-ভাগ-গুন করিয়া পরে অন্যের দম বন্ধ করিয়া দিতাছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল নাকি শুন্য। এই অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই অবস্থা। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাজের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।

মা’জননী বিনয় দাদু কহিলো আমাগো তিন পাহাড়ে বহিরাগত রাক্ষস খোক্ষসের সংখ্যাতো বাড়িয়াই যাইতেছে। ক্ষুদ্র নৃ-জাতি গোষ্ঠির ভুমি লইয়া টানাটানিতে বহুতে এতিম হইয়া পড়িতেছে। আমাগো বান্দরবন পর্বতের লামায় অমানুষের হিসাব বাড়িয়া লামারে তামা বানাইয়া ছাড়িতেছে। ভুমিদস্যুরা টানা পর্বত কাটিয়া মাটিরেতো পাউডার বানাইয়া ছাড়িতেছে। ইউএনও দাদুতো দেখিতেছি, বলিতেছি কহিতে কহিতে নিজেই নাকি পর্বত হইকে বদলি হইয়াছে। আদি নিবাস বাঁচাইতে হাউমাউ করিয়াও কান্দিতেছে, দিশেহারা হইয়া প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুড়িতেছে। বান্দরবনের বহুত স্থানে হরেক রকুমের দখলবাজ খালি ওঁৎ পাতিয়া ঝোপ বুঝিয়া খেপ মারিতেছে। রফিক দাদু কহিলো মহা মহা ভুমিদস্যু লামা উপজেলারে গিলিতে গিলিতে নদী নালাও বাদ পড়িবেনা। নানান কিছিমের ছত্রছায়া ব্যবহার করিয়া মহা মহা ভুমিদস্যুরা ক্ষুদ্র নৃ-জাতি গোষ্ঠির ভুমি জোর পূর্বক দখল করিতেছে। মা’গো লামায় ভূমি খেখোদের হাড্ডিগুড়া করিতে বুলড্রোজার চালাইবেন। এত্ত শয়তান কিভাবে পয়দা হইতেছে, পাহাড়, ভুমি’র মন্ত্রী দাদুরা নীরব কেন এইসবের হেতু কি, ব্যবস্থা লইতে আর্জেন্ট আদেশ করিবেন।

মা’রে আমাগো মাদার পর্বতে দুর্নীতির দায়ে অতীত মেয়র ভূট্টো, হিসাব কর্তা সাকুর-নুরুল, কর কর্তা নির্মল দাদুগোর বিরুদ্ধে তদন্ত সমাপ্তে দুদকতো মামলা টুকাইয়া দিয়াছে। তয় এই পৌরসভাতো বহু আগে হইতেই শোষণের শিকার। আমাগো আলী দাদু কহিলো বর্তমানের দূর্নীতিবাজগোর ব্যবস্থা কখন হইবে। পৌরবাসীর টেক্স দেশ-বিদেশের টাকা লইয়া হ্রদের মইধ্যে পায়খানার টেংকি বসাইয়া মানুষ, পানি, হাবাবাতাসও দুষিত করিয়াছে। দূর্নীতিবাজ, লুটের দল এই পৌরসভারে ললিপপের মতন চুষিতে চুষিতে রক্তও সাদা করিয়াছে। উন্নয়ন কি হইতেছে, কি হইয়াছে তথ্য আইনে আবেদন করিলেও তথ্যের পইথ্য নাই। আলম দাদু কহিলো মেয়র আসন লইতে আমামীলীগের এক দাদু নাকি লুটের মজুদ টাকার পাহাড়া দিতাছে। মা’গো সামনের নির্বাচনের আগেই এক দুই হালিরে লটকাইয়া দিতে আদেশ করিবেন।

মা’ জননীগো মানিক দাদু কহিলো জেলা আমামীলীগের নাম ভাংগাইয়া জোড়াতালির বহুত হোমড়াচোমড়া অসহায় দাদু-দিদিগোরে ফতুর বানাইতে চতুর দিক লেজুর বাহিনী বসাইয়াছে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের খোদ এমপি দাদুর পাশেই অভাগা সঞ্জু বড়ুয়ার পরিবারকে সমূলে উচ্ছেদ করিতে নানান কিছিমের সন্ধি করিয়া ফন্দি আঁটাইয়া তিন যুগ ধরিয়া অত্যাচার চালাইতেছে। আপুনার গুরিন্দা বাহিনী দিয়া তথ্য তালাস লইলে হ¹লই আয়নার মতন চির সত্য বলিয়া তথ্য পাইবেন। এই পোড়াকপাইল্লা অধমও তাইনের সহায় সম্বল বাঁচাইতে চেষ্টা চালাইতেছি। কতুয়ালীর পুলিশ একবার এইদিক হইলে আবার ওইদিক। দয়া করিয়া এই অভাগীনি মা’রে বাঁচাইতে বিশেষ নজর দিতে এমপি ও জেলা প্রশাসক,এসপি দাদুরে আদেশ করিবেন।

মা’রে তিন পর্বতে রাজনীতির ক্ষোভ-টোপ উপড়াইতে উদ্যোগ লন। জনসংহতি সমিতিরে পাশে লইয়া দলের লস পার্সেন্টিজের স্কেল বাড়ান। টাকা ঢালিলেই ফিল্ডতো আর ফাঁকা হইবে না। সন্তু দাদুরে লইয়া উন্নয়নের রোড ম্যাপ তৈরী করেন। বহুতে নাকি ঘুঁঠা দিয়া পাহাড় গরম করিতে ঘি ঢালিতে প্রস্তুত। যাঁরা তৈল-ঘি লইয়া দৌঁড়ায়, লাট্টালাট্টি বাঁধিতে উসকায় তাহাদেরও চিহ্নিত করনের দরকার। মানবতা বিরোধী কাজের দুই চাইরটা টান দিলেই ফত ফত করিয়া নাটের গুরু, লাটের গুরু, লুটের গুরু, পুশিং গুরু, খুশিং গুরু, সবগুলাইন দাঁড় হইয়া যাইবে। পাহাড়ে খাল বিল নালা নর্দমা দখল করিয়া উন্নয়নের ফিরিস্তি দেখাইলেও পরে কুঠি কুঠি টাকার বহুত সম্পদ ভাঙ্গিতেও কুঠি কুঠি টাকা জলে পড়িবে। মা’রে মানুষের ভাগ্য লইয়া ছিনিমিনি খেলা বন্দ করিতে পাহাড়ে দানের বরাদ্দে কড়া নজর দিবেন।

মা’জননীগো মেজর অব সিনহা হত্যা ঘটনা লইয়া বিশ্বের দরবারে দেশের মানতো কমিয়াছে। ওসি প্রদীপ-লিয়াকত গং’র কর্মকান্ড দেশের দাদু-দিদিগোর শরীল হইতে ফিনকি দিয়া রক্ত বাহির হইতেছে। প্রদীপ-লিয়াকত গং জালিমের শোষণের কাছে দরিদ্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কোটিপতি, শিল্পপতি কেউ বাদ যায় নাই। ওফিসার ইন-চার্জ লইয়া যেইভাবে দেশের দাদু-দিদির উপর অবিচার চালাইয়াছে পুলিশ বিভাগের মানতো ডুবাইয়াছে। তার অত্যাচারে আমাগো সাংবাদিক ফরিদুলের অন্ধকার জীবন চলিতেছে। বহুতে অকারনে জেল খাটিতেছে। প্রদীপের দেশ বিদেশে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সিনহা হত্যা লইয়া ‘দেশতো টক অব দ্য কানিট্র ওসি প্রদীপ-লিয়াকত গং’। রাজশাহীতেও এসপি বেলায়েতের বিরুদ্ধে চাঁন্দাবাজির মামলা হইয়াছে। ক্রস ফায়ারের ভয় দেখাইয়া অর্থ আদায়ের অভিযোগে আখাউড়ায় ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা টুকিয়াছে। প্রদীপ-লিয়াকত গং’র পুলিশ ডিপার্টমেন্টে আর কোন প্রদীপের জন্ম না হয় মতন ব্যবস্থা করিবেন। ওসি প্রদীপ-লিয়াকত গং’র নাটের গুরুদেরও মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক আদালতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ঝুলাইয়া দিতে ওয়ার্ডার করিবেন।

মা’গো দেশে করোনার প্রভাবতো কমিয়াছে বলিয়াই মনে হইতেছে। এই মহা ভাইরাসতো মানব জাতিরে নিঃস্ব করিয়াছে। বিশ্বের করোনায় দেশের শ্রম বাজারতো শক্তি হারাইতে বসিয়াছে। তার মইধ্যে লুটেরা সাহেদ, সাহাবুদ্দিন, ফয়সাল, সাবরিনারাও শ্রমবাজার ধ্বংস করিয়াছে। এই সভ্য নামের অসভ্য ভদ্ররা দেশের দাদু-দিদিগোরে চুষিয়া খাইতে খাইতে হাড়-গোড়ের মজ্জাও খাইয়াছে। মা’রে মানবতা ধ্বংসকারী এইসব লুটেরাদের লাইনে তুলিয়া চিরতরের জইন্য লাল কার্ড ধরাইয়া দেন, তাঁগো গড ফাদার, লুট ফাদারগোর তালিকা প্রকাশ করিতে ওয়ার্ডার দেন। হাসপাতালের অনুমোদন লইয়া মন্ত্রী মালেক দাদু দেশের দাদু-দিদিগোর সাথে কি মশকরা করিতেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লইয়া দেশের দাদু দিদিরা কানাঘুষো রানিং রাখিয়াছে।

মা’রে হাবিব দাদু কহিলো নব্য জেএমবির অপতৎপরতা আইনশৃংখলাবাহিনীর ঘুম হারাম হইতেছে। করোনায় দেশের ফাটা কপাইল্লা দাদু-দিদিগোর অভাবে অভাবে মানুষের প্রাণ যায় যায় অবস্থা তার মইধ্যে নানান কিছিমের অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়া উঠিতেছে। করোনায় ক্ষতির তামাম দুনিয়ায় মাদক ইয়াবা, নারী ধর্ষণ ঘটনাও নীরব ঘাতক হইয়া দাঁড়াইয়াছে। দেশে দেশে দাদু-দিদিরা উপর ওয়ালার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাহিতেছে আর বহুতে প্রাণ কাড়িয়া লইতেছে, সৃষ্টি কর্তার তাইজ্জব এই দুনিয়ায় আর কত অত্যাচার নির্যাতন দেখিতে হইবে। হুনিতেছি দলে অনুপ্রবেশ হইয়াছে, আকবর দাদুতো কহিলো আগাছায় দলের গোছা লইয়া টান দিতে পারে। সেতু দাদুতো কহিলো আপুনার পিছনে শত্রু ওষ্টে পিষ্টে চাঁটের মতন লাগিয়া রহিয়াছে। আপনারে শেষ করিতে নীলনকশা অব্যাহত রহিয়াছে। মা’রে অতীত ভুলিয়া থাকন ভালা তয় স্মরণ রাখিতেই হইবে। হ¹ল বিপদের আগে শুদ্ধি অভিযান চালাইতে ব্যবস্থা লইবেন। পিছনে থাকনের সময় নাই মানবতাবিরোধীদের বিষদাঁত ভাঙ্গিয়া দেন।

মা’গো আমিতো কহিয়াছিলাম চমেক গরম হইতেছে। এইবারতো ইন্টার্ন ডাক্তারগোর কর্মবিরতিতে হাসপাতালের প্রধান ফটকের তালায় রোগীর চর্ম খসিতে বসিয়াছে। ভুমি অধিগ্রহনের চেক জালিয়াত চক্রের হাতে ঘটনা লইয়া ক্ষতিগ্রস্তরাতো মাথায় হাত দিয়াছেন। ডজনখানেক দালাল চক্র নাকি গা ঢাকা দিয়াছে। কক্সবাজারের উখিয়ায় নয় মেম্বরের আট জনই নাকি ইয়াবায় জড়িত। ষোলশহর পুলিশের ট্রাফিক বক্সে বোমা হামলা নগরীর শান্তি কাড়িয়া লইতেছে। প্যাকেটজাত করিয়া ইয়াবার পাচার। মাদক কারবারীগোর চমক চমক পাচার কান্ড, অভিযান চালাইতে ম্যাজিস্ট্রেট, গুরিন্দা, আইনসৃংখলা বাহিনীর সদস্যগোরে নামাইয়া দেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাএস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৫ আগষ্ট, ২০২০ খ্রীঃ

ই-পিসি/আর