[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-০৩

৩৩

 

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি আপনি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া কোন রকম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায় কাপ্তাই হৃদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতার পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়া কোপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, এ তিন নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’রে দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন। যাউ¹া, পর আলোচনায় আসি…

মা’ জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিতেছি, তয় মা’রে কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পাহাড়েতো সকালে ওমুকের দলের হইলে বিকালে তমুকের দলের প্রাণ ঝড়িতেছে। আইজ এক কোনায় রক্ত হুগাইলে কাইল আরেক কোনায় জমাট বাঁধিতেছেই। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ। মনে হইতেছে তাইনেরা প্রতিযোগীতায় নামিয়াছে। মৃতের গননায় বৃহস্পতিবার বাঘাইছড়িতে উদয়ন যোগ হইয়াছে। আমাগো পাহাড়ের অসহায় দাদা-দাদিরাতো সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। মা’রে পাহাড়ে পাপের বোঝা বস্তায় বস্তায় হইয়াছে, পাবলিকের শান্তির জন্য বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া পাহাড়ের ফাটা কোপাইল্লা দাদা-দাদিরা আপনার দরবারে খালি আরজি জানাইতেছে, মা’জননীগো দয়া করিয়া ব্যবস্থা লইবেন।

মা’গো পার্বত্য চট্টগ্রাম লইয়া সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, ওলট পালটের নেতৃত্ব, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতি লইয়া পাহাড়ের মানুষতো রক্ষচোষা জোঁকের দলে বন্ধী হইয়া পড়িয়াছে। অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে খালি চুষিতেই আছে। ঘটনা একটা ঘটিলেই চুইঙ্গামের মতন টানিতে, টানিতে, লম্বা করিয়াই যাইতেছে। মা’ জননীগো আবারো কহিতেছি পাহাড়ে আকাম কু-কামের দল ভারী হইয়া গিয়াছে। আপনার মন্ত্রী, এমপি, সচিবরাতো কহিতেছেন শান্তির জন্য পাহাড়বাসীর উন্নয়নে অর্থ ছাড়িতে আপনি কৃপণতা দেখান না। তয় আপনার অকৃপনতার ফসল হইতেছে উন্নয়নের বরাদ্দ লুটেরা মলম পার্টির খপ্পরে পড়িয়াছে। জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড কাগজে পত্রে দেখাইয়াও লুটপাট চালাইতেছে। মা’ জননীগো পাহাড় পর্বত লইয়া একটু সময় দেন, চিন্তা করেন, গবেষনা করেন, না হইলে বিশে^র দরবারে আপনার যেই মান ইজ্জত মওজুদ হইয়াছে তাতো ধুলায় মিশাইয়া যাইবো বলিয়া এই অধম, বেকুবেরও মনে হইতেছে।

মা’জননীগো পাহাড়ের অসহায় দাদা-দাদিগোর ফাটা কপালের কথা আপনার দরবারে লিখিতে যাইয়া কেউ বেজার হইলেও বহুতেতো স্যলুট করিতেছে। গেল চিঠিখানায় লিখিয়া আপনার দলের নেতা মুক্তিযোদ্ধা আমিন দাদাও দেখিলাম খুশি খুশি ভাব। তয় বেতাল কাজে কামে দু-চার কলম খোঁচা মারিয়া কেউ কেউ ডাঙ্গর ডাঙ্গর চোখেও দেখে। গত পনের বছর ধরিয়া মাদার ডিস্ট্রিক্ট লইয়া নেতৃত্বের বেতালে তলে তলে বহুত ত্যাগী নেতাতো তুষের আগুনের মতন জ¦লিতেছে, কেউ কেউ বেলুনের মতন ফুলিলেও মূখে কুলুপ। নেতাজিরা ঠেঁস গুঁতোর নেতৃত্ব আর হাম বড় হাম বড় করিতে যাইয়া কারো কারো নেতৃত্ব থাকিলেও লাভ নাই না থাকিলেও ক্ষতি নাই অবস্থা। দলের চান্দি গরম নেতা দাদারাতো কহিলেন যারা নাকি বাজারের ঝুড়ি টানিয়াছে তারাই নাকি নেতৃত্ব পাইতাছে। পরিষদের নেতৃত্ব লইয়া কি কি হইয়াছে উপরে সৃষ্টিকর্তা আর নীচে আপনার দলের অভাগা নেতারাই জানে। জেলা দলের বহুত নেতা-নেত্রী কহিলেন নেতৃত্বে নিখিল দাদা নাকি হ¹লের কাছে ২য় প্রিয়ভাজন। মা’রে যা জানিলাম এই প্রিয়ভাজনেরও ওজন আছে বটে। তয় দলের স্বার্থে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নেতৃত্ব সুরক্ষা করিতে অজ্ঞ আর মুরর্খদের আউট করেন। উন্নয়ন বোর্ডে দক্ষ কামলা দরকার, দ্রুত যোগ্য নেতা বসাইয়া দেন। হেই খানে আমলা দিয়া লাভ হয় নাই, পাবলিক তাইনের চেহারাও ভুলিতে বসিয়াছে। জেলা আমামীলীগের নেতৃত্ব লইয়া নিজেই তদারক করেন, নজর দেন, না হয় ভবিষ্যৎ লইয়া পস্তাইতে হইবে বলিয়া এ বেকুবেরও মনে হইতেছে।

মা’জননীগো আপনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এর সোলার প্রকল্প লইয়াও তলে তলে আকাম বহুত হইয়া গিয়াছে। পাহাড়েতো এই প্রকল্প লইয়া ভাইচারে ভাউচারেও নাকি লুটপাট হইয়াছে। নামে বেনামে তেলা মাথায় তেল ঢালিয়াছে। দলের চেয়ারমন, এমপিরাতো নেতা নেত্রীগোরে খুশি করিতে যাইয়া পাহাড়ের অসহায়রা অন্ধকার হইতে আলোতে আসিতে হিমশিম খাইতেছেন বলিয়া দলের নেতারাও কহিতেছেন। মা’রে পাহাড়ের অন্ধকারের অভাগা মানুষগুলাইনরে আলো দিতে আপনার বিদ্যুৎ প্রকল্পের হ¹ল হিসাবের খাতাখানি একবার তদারক করিবেন খোঁজ খবর লইবেন তয় এই বেকুবের দু-চার কলমের বার্তাখানাও মিলাইতে পারিবেন।

সংরক্ষিত মনোনীত এমপি বাসন্তির বক্তব্যেতো পাহাড়ে নতুন করিয়া অশান্তির খোরাগ বানাইতেছে। খাগড়াছড়িসহ তিন পাহাড়ে ব্যানারে ব্যানারে লম্বা লাইন ধরিয়াছে। এমনিতে অশান্তি আর অশান্তি, আবার দুর্বৃত্তগোর ডরে মানুষ যান পরান লইয়া কিভাবে বাঁচিয়া থাকিবে এই চিন্তায় দিনাতিপাত করিতেছে তার মইধ্যে বাসন্তির যেন উনুনে তৈল ঢালনের রাজনীতি। আমামীলীগের রাজনীতি লইয়া বাসন্তির স্টাডির অভাব রহিয়াছে। তয় বাসন্তির উত্তান লইয়া পাহাড়ে এখন নানা জনের নানান কথা চালাচালি হইতেছে। এমনিতে ঠেঁসগুঁতোর রাজনীতি লইয়া কারো কারো সাথে আমামীলীগের যোজন যোজন ফারাক, দলের শান্তি প্রিয় নেতারাও তাই কহিতেছেন। মা’জননীগো দলের ভেতরে আগাছা থাকিলে দ্রুত পরিস্কার করিতে আদেশ দেন। এই অধম বেকুব মনে করে কেউ শাসিত না হইলে শাসনের মূল্যবোধ নির্ধারন করা কঠিন। বিষয়টি লইয়া আপনি একটু ভাবিয়া আগাইবেন।

বান্দরবানের বহুত উপজেলাতেতো লুটপাটকারীরা দলে বলে চুষিয়াই যাইতেছেন। হেইখানের পাহাড় পর্বতে তলে তলে মাদকের মজুদ রহিয়াছে বলিয়া পাবলিক ফিস ফাস করিতেছে। বিজিবি’র জোয়ানরাতো প্রায় সাড়ে তের কুঠি টাকার ইয়াবা জব্দ করিয়াছিল। হেই খানে চিরুনী অভিযান চালাইলে মজুদ ফর ফর করিয়া বাহির হইয়া পড়িবে। রফিক দাদাতো কহিলেন, হেইখানে কেহ পাহাড় গিলিতেছে, কেহ বা বন জঙ্গল, কেহ পাথর। ধর্ষন, খুন খারাবি, চুরি ডাকাতি আর মাদক লইয়া প্রতি সপ্তাহেই অঘটন ঘটিয়াই যাইতেছে। যাহা মেসাজ পাইতাছি তাতেতো মামলা মামলায় চুইঙ্গামের মতন লম্বা হইতেছে, লুটেরার দল স্থায়ী খুঁটি গাঁড়িয়াছে। আমাগো সাংবাদিক দাদারাতো কহিলেন লিখিতে গেলেই ৩২ আর ৫৪ চলিবে। তয় এই ধারারে পুঞ্জি বানাইয়া জনগনের অধিকারকে ললিপপের মতন চুষিতেছে। ইয়াবা কারবারীর দল মাদার ডিস্ট্রিক্ট রাঙ্গামাটিতেতো কেউ স্বগোপনে আবার কেউ আত্মগোপনে। মা’রে এইসব কর্মকান্ডের কারন কি মন্ত্রী, এমপি দাদাদের প্রশ্ন করিবেন আর নিজেও ভালো করিয়া তদারক করিবেন।

তিন পাহাড়েতো উপজেলা নির্বাচন লইয়া আমামীলীগের মনোনীতরা খুশি। চেয়ারমন, ভাইস চেয়ারমনরা এক্কেবারে ফুরফুরে মেজাজে রহিয়াছে। তয় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্রার্থী লইয়াতো ডর ডর লাগিতেছে। সারা বছর যারা মাঠে চাষ করিয়া বেড়াইয়াছে ফলের বেলায় দেখি মতরখারা মনোনয়ন পাইয়া বসে, যারা নিজের কাথা কম্বল আগে গুছাইতে ব্যস্ত, তারাই মূল্যায়ন পাইয়া বসে, তাইজ্জব কান্ড। তয় এই প্রার্থী জয়ের মালা পরিবে নাকি দলরে পরাজয়ের মালা পড়াইবে এইডা লইয়াতো আমামীলীগের ভক্ত, আর শক্ত সমর্থকরাও চিন্তায় পড়িয়াছে। যা দেখিতেছি পাহাড়ে নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনে খুশি মতন হইতেছে। দলের ত্যাগীরা অভিযোগ করিতেছে অদক্ষ অভক্তরাই নাকি দলের মনোনয়ন পাইতাছে। ভবিষ্যতে যে কোন নির্বাচনে প্রার্থী দিতে অন্তত সবদিক ভাবিয়া দেখিতে তালুকদার দাদারে কড়া আদেশ করিবেন।

মা’জননীগো অপার দয়াময় সৃষ্টি কর্তার কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনায় আগাইতেছেন। হঠাৎ করিয়া কাদের দাদা অসুস্থ হইয়া পড়িলে দেশের রাজনৈতিক স্থানে শূন্য শূন্য মনে হইতেছে। আশ্রাফ দাদার পরে তাইনে সাধারন সম্পাদকের পদে আসীন হইয়া দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলতো চাঙ্গাই রাখিয়াছেন। কাদের দাদার সুস্থতায় পাবলিক দোয়া করিতেছে। দ্রুত আরোগ্য লাভ করিতে পাহাড়ী দাদুও সৃষ্টিকর্তার দরবারে মিনতি জানাইয়াছেন। কোহ দাদা কহিলেন তাইনের হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক, মা’রে তাইনেরে সুস্থ করিতে আপনি নিজেই খোঁজ খবর রাখিবেন।

মা’জননীগো দেশের ইয়াবা কারবারিগোর আত্মসমর্পনতো টক অব দা কান্ট্রিতে চলিতেছে। হেই দিন ১০২ জনের যেই নাদুশ নুদুশ চেহারা, মেদভুড়ি দেখিয়া পাবলিকের আহ্লা জিহ্বাও সেই দিন আটকিয়া গিয়াছিল। অতিথি আসনেও ইয়াবা কারবারি? পাবলিকে ছিঃ ছিঃ করিতেছে। নীরবে জাতি ধংসকারী এই মানবতা বিরোধীগোর কোন ক্ষমা না করিতে দেশের মানুষ আপনার দরবারে দুই হাত তুলিয়া এখনো আর্জি জানাইতেছে। এই মানবতা বিরোধী কাজ লইয়া চ্যানেল গুলোতে লাগাতার বিচার বিশ্লেষন চলিতেছে। মানবতা বিরোধীগোরে আর্ন্তজাতিক আদালতের মাধ্যমে দ্রুত সাইজ করিতে পরামর্শ দিতাছে। অধরা হোতারাও যাহাতে পলাইতে না পারে স্বরাষ্ট্র দাদারে কড়া আদেশ করেন। মা’রে স্বাধীনতা বিরোধীদের মানবতা দেখাইতে গিয়া আমাগো জাতির পিতার উপরও বুলেট চালাইয়াছিল। তয় মা’গো চিরন্তন সত্য হইলো যারে একবার কুমিরে খায় সে ঢেঁকি দেখিয়াও ভয় পায়। এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম পাহাড়ী দাদুর মিনতি, সভ্য জাতি গঠনে পিছনে তাকানোর সময় কিন্তু আপনার নাই। জাতি আর মানবতাকে রক্ষা করিতে প্রয়োজনে জেলায় জেলায় আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আদালতের শাখা গঠন করনের দরকার বলিয়া দেশের বিজ্ঞজনেরাও মনে করিতেছে। এই বিষয় লইয়া একটু ভাবিবেন।

মা’রে চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা লইয়াতো পাবলিকের শিরা-উপশিরা স্লো হইয়া যাইবার উপক্রম। আপনি যখন চাঁটগায় তখন এই দুঃসাহসিক কাম। এই ব্যাটা পলাশের কামিং গোইং কিভাবে হইলো ভালো করিয়া খতাইয়া দেখনের দরকার। শোভন দাদায় কহিলো বিমানে নাকি একটা চুল পর্যন্ত চেকিং হয় অথচ পলাশ খেলনার পিস্তল লইয়া কিভাবে ইন হইলো। মা’রে তারও আগে আপনাকে বহন করা বিমানের নাট বল্টু পর্যন্ত লুজ করিয়াছিল। এইতো দেখি শষ্যের ভিতর ভুত রহিয়াছে বলিয়া দেশের পাবলিক টকিং করিতেছে। বিমান কর্তৃপক্ষের ওলট পালট বিফ্রিং, তাইনেরা, কহিলো তিনডা গুলির শব্দ পাইয়াছেন। অস্ত্রই যদি না থাকে গুলির শব্দ আইলো কোত্থেকে, পলাশরে মারিয়া ফেলার কারনটাই কি। ব্যাটারে জীবিত রাখিলে এই কামে কোন নাটের গুরুর হাত রহিয়াছে পাবলিক জানিতো, এইসব চিন্তা লইয়া এই পোড়াকোপাইল্লা, অধমের মাথাও আউলা ঝাউলা লাগিতেছে।

মা’গো দুদকের কাইজ কাম লইয়াতো মহামান্য হাইকোর্ট কড়া কড়া কথা শুনাইয়া দিলেন। বিড়াল যদি ইঁদুরই ধরিতে না পারিলে বিড়াল রাখিয়াও লাভ কি? মাহমান্য আদালততো উচিৎ কথাই কহিলেন। আইন আদালত লইয়া মসকরা করিতেছে। তাইনেরা নাকি ডুপলিকেট আসামী দিয়া ওরিজিনালরে সাক্ষী করিয়াছেন, তাইজ্জব কান্ড। দুদকের যদি দুর্নীতিবাজ চিহ্নিত করিতে ভুল হয় তাহা হইলে দ্বায়িত্ব কি মহামান্য আদালতের। মা’রে এইসব বিষয় লইয়া আমাগো দুদক চেয়ারমনরে ডাকিয়া ব্যবস্থা লইতে কড়া আদেশ করেন।

চকবাজারের ঘটনায় নিহত নিখোঁজগোর বাসা-বাড়িতে এখনো চোকের জল ঝড়িতেছে। অঙ্গার দেহ দেখিয়া প্রিয়জনেরা বুক চাপড়াইতেছে। মা’রে কোনরকম উজি আরজি না শুনিয়া হ¹ল ক্যামিকেল ব্যবসা সুষ্টিকর্তারেস্মরন করিয়া সবদিক বন্ধ করিতে চরম অর্ডার দেন।

মা’জননীগো নদী মাতৃক এই দেশের নদী,খাল বিল দখল করিতে করিতে নদী মাতৃক দেশের পরিচয়তো মুছিয়া যাইতে বসিয়াছে। দেশের হ¹ল গুরুত্বপূন্য নদী নালার জায়গা ভুমিদস্যুরা ইচ্ছেমতন দখল করিয়াছে। একদিকে ভাঙ্গিলে অন্যদিকে দখল করে। আমাগো পাহাড়ের মাদার ডিস্ট্রিক রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের মিঠা পানির কাপ্তাই হ্রদও দখল হইতে হইতে ছোট হইয়া যাইতেছে। এইখানে রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায়ও দখল চলিতেছে আবার উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো হ্রদের পার দখল কারীদের নামে বে-নামেও দালান বাঁধিয়া দিতাছে। পরিবেশের চরম ক্ষতি করিয়া যাইতেছে। কর্ণফুলী দখলমুক্ত করিতে যাইয়া কিছু করা হইলেও আবার বন্ধ হইয়া গিয়াছে, তার কারন কি? এমনিতে দেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঘটনা বাড়িয়াছে তার মইধ্যে নদী, নালা, খাল বিলের উপর অত্যাচার। এইসব উদ্ধারে পরিবেশ মন্ত্রীরে কড়া আদেশ করিবেন।

মা’রে এখনো শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে থাকিবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি পাইবো। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১০ মার্চ- ২০১৯খ্রীঃ