[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৩০

৮৬

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও অবাধ্য জীবানু করোনার অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৩০ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো এরই মইধ্যে আমাগো সাবেক দুই মন্ত্রী আর কন্ঠশিল্পীর মৃত্যু খুবই কষ্টদায়ক। পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে এরইমইধ্যে নতুন যোগ হইয়াছে করোনা। এমনিতে দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। সন্ত্রাসীরাতো গেল সপ্তাহেও সাত জনকে পরপারে পাঠাইয়াছে। মনে হইতেছে খানিক দম লইয়া পরে অন্যের দম বন্ধ করিয়া দিতাছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে। এই অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই অবস্থা। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।

মা’জননী আমাগো পাহাড়ে ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিলেও সন্ত্রাসী কেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকিবে প্রশ্ন ছুঁড়িতেছে। আঞ্চলিক দল উপদলের নেতারা সষ্যের ভিতর ভুতের বসবাস বলিয়া মাইক ফাটাইতেছে। বহুতে নাকি ঘুঁঠা দিয়া পাহাড় গরম করিতে ঘি ঢালিতে প্রস্তুত। যাঁরা তৈল-ঘি লইয়া দৌঁড়ায় তাহাদেরও চিহ্নিত করনের দরকার। এইভাবে লাট্টালাট্টি চলিতে থাকিলে বাট্টাই বাড়িতে থাকিবে। চুক্তির সুফল জনগন যাহাই পাইতেছে তয় কুফলের সুফলতো পাইতেছেনা। মানবতা বিরোধী কাজের দুই চাইরটা টান দিলেই ফত ফত করিয়া নাটের গুরু, লাটের গুরু, লুটের গুরু, পুশিং গুরু, খুশিং গুরু সবগুলাইন দাঁড় হইয়া যাইবে। মা’জননী পাহাড়ে বহুত তামাসা চলিতেছে এই অধমের কথাডা বেদম বলিয়া গন্যু করিবেন।

মা’জননীগো করোনায় আক্রান্ত হইয়া বহুতে চিকিৎসা না পাইয়া মরিতেছে। বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তাররাও নাকি এখন গা ঢাকা দিয়াছে। পত্র-পুত্রিকায় যেই চিত্র দেখিতেছি রোগী হাসপাতালে আসিলে বহুতে দুয়ারেই মরিতেছে। ডাক্তাররাই চিকিৎসা না দিয়া রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াইয়া দিতাছে। রোগ যাই হোউক করোনা সন্দেহে দেশের বহুত ডাক্তার সেবা দিতে চাহিতেছেনা বলিয়া অসহায় দাদু-দিদিরা নিত্য আপুত্তি করিতেছে। মা’রে এই পোড়াকপাইল্লা আবারো মিনতি জানাইতেছি যেইসব ডাক্তার, হাসপাতাল, রোগীর সেবা দিতে চাহে না তাঁগোরে তাৎক্ষনিক জেল খানায় ভরনের ওয়ার্ডার দেন। পলাতক ডাক্তারের সার্টিফিকেট বাতিল করেন। শুধু রিজেন্ট হাসপাতাল নয় আকামের আরো বহুত হাসপাতাল সিলগালা করিতে কড়া ওয়ার্ডার দেন। মা’গো লকডাউন দিলে সংক্রমণ কিছু কমিতে পারে তয় করোনা যে একেবারে পলাইয়া যাইবে তার গ্যারান্টি কি। কথা হইলো দেশে বার্ধক্য আর নানান রোগে দৈনিক কতজন মরিত তার হিসাবতো দেশবাসী কোন দিন পায় নাই। করোনার কারনে হিসাব পাইতেছে। রোগ বালাই থাকিবে চিকিৎসা না দিয়া যদি মানুষই মরিয়া যায় তয় আমাগো করোনাযুদ্ধের ফলাফল কি হইবে। দেশের ফাটা কপাইল্লা দাদু-দিদিগোর কুইশানে কুইশানে আমি অধমও জর্জ্জরিত। তয় লকডাইন বাদ দিয়া মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করিতে এই হতভাগার আরজি রহিল, বিষয়টি ভাবিয়া দেখিবেন।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতন পাহাড়েও ত্রাণ লইয়া বহুত লুকোচুড়ি হইতেছে বলিয়া ফুসফাস চলিতেছে। প্রণোদনার ভাগ বসাইতে কলকাঠি চলিতেছে। আমাগো পাহাড়ের বহুতে নাকি স্বরলিপিতেও নাই, হারমুনি বাজাইতে পারে না এমনও দাদু-দিদি নাকি আপনার প্রণোদনা পাইয়াছে। এইসব লইয়া প্রকৃত সাংস্কৃতিক কর্মিরাতো বেলুনের মতন ফুলিতেছে। তয় ফাঠিবার আগেই জেলা প্রশাসক দাদুরে সতর্ক হইতে ওয়ার্ডার করেন। জুল দাদু কহিলেন প্রণোদনার লোভে সামান্য জ¦র সর্দিতেও করোনার হিসাবে লিখিতেছে। এই পোড়াকপাইল্লারও মনে হইতেছে প্রণোদনার গন্ধে বহুতে নোটে-কলমে অন্ধ হইতেছে। মা’গো দেশের মানুষ বাঁচাইতে আপনার ঘোষিত প্রণোদনা লুটের তালে পড়িয়াছে কিনা খোঁজ রাখিবেন।

মা’রে সরকারের দেয়া ত্রান পাহাড়ে কারো ভাগ্যে কয়েক দফায় জুটিলেও কারো ভাগ্যে শুন্য। কাজের অভাবে খাদ্যের অভাবে ঘরবন্দী মানুষ ছটফট করিয়া পলাতক হইয়া বহু দাদু-দিদি তাইনেগোর দেনার হিসাব লম্বা করিয়াছে। এই মহাবিপদের সময়ে বহুতে পকেট কাটিয়াছে। তয় মানুষের ভাগ্য লইয়া ছিনিমিনি খেলা বন্দ করিতে পাহাড়ে দানের বরাদ্দে কড়া নজর দিবেন। মা’গো পাহাড়ে খাল বিল নালা নর্দমা দখল করিয়া উন্নয়নের ফিরিস্তি দেখাইলেও কুঠি কুঠি টাকার বহুত সম্পদতো ভাঙ্গিতে কুঠি কুঠি টাকা জলে পড়িবে। এমনিতে দখলে দখলে কাপ্তাই হ্রদ বেহালে তার মইধ্যে আমাগো মাদার ডিস্ট্রিক্টের জেলা পরিষদের অন্তবর্তি দাদুরা কাপ্তাই হ্রদের তলা হইতে কাøবের বিল্ডিং উঠাইতেছে। নামের পিছনে ভালা টেগ করিতে উন্নয়ন দেখাইতেছে। বিজ্ঞ দাদুরা প্রশ্ন তশ্ন করিতেছে এমুন কি লাভের প্রতিষ্ঠান যে হ্রদের তলা হইতে বানাইতে হইবে। ক্যাসিনো কান্ডেতো দেশ দুনিয়ার ক্লাব বন্ধ এইসবের হেতু কি মন্ত্রী বীর দাদু,পরিষদের অন্তবর্তি দাদুগোরে জেরা করিবেন।

মা’রে আমাগো ফটর ফটর আবছার দাদু কহিলেন মাদার ডিস্ট্রিক্টের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিরে ধাক্কা দিলেই ফষ্টিনষ্টির পাক্কা খবর বাহির হইয়া যাইবে। হেইখানে নাকি কোভিড-১৯’র দুই হাজার গরীব দুঃখীর অর্থ লইয়া বহুতের ব্যক্তিগত ডেবিট হইয়াছে। হুনিলাম এই প্রতিষ্ঠান মহামাইন্য রাষ্ট্রপুতির আদেশেই চলে, তয় রেড ক্রিসেন্ট চালকরা সু-আদেশ অমাইন্য করিয়া কু-আদেশ পালন করিতে সাহস পাইয়াছে কোত্তেকে কুইশান বহুতের। রাঙ্গামাটি রেড ক্রিসেন্ট এর কাইজ কামে নানা সময়ে নানান কিছিমের আপুত্তি হইলো ধাপ্পাবাজরা নাকি খাপ্পা মারিয়া বেড়ায়। তথ্য আইনে তথ্য চাহিয়াও তাইনেগোর দেয়া পথ্যের হিসাব দিতে তালবাহানা। এইসব লইয়া ঘুঠা দেন, দেখিবেন ফত ফত করিয়া বাহির হইবে। এই অধমের কথাডা মিলাইতে পারিবেন।

মা’গো পাহাড় উন্নয়নে আপনার দেয়া বালতি ভর্তি পানির এক দুই গ্লাস দোল খাইয়া পড়িবে তয় পুরোটাই যদি সেচ্ছায় ঢালিয়া নষ্ট করিয়া দেয় তার দায় কার। পাহাড়ে কেউ টাকায় মজিতেছে, কেউ অন্ধকারে ডুবিতেছে। আমাগো জর্জ কোটের এক উকিল দাদু আপুত্তি জানাইয়াছেন জেলায় ইয়া বড় বড় দুর্নীতিবাজরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে কেন্। দেশে অন্য জেলা উপজেলায় যদি দুর্নীতিবাজরা ধরা খায় আমাগো জেলায় অধরায় কেন থাকিবে। তাইনে মুছকি হাসিয়া কহিলো দূর্নীতি দমনে নাকি একটা ফর্দ জমা হইয়াছে। এই ফর্দে কালাইয়া, সাদাইয়া পেট্টইয়া রহিয়াছে, এই ফর্দের আইদ্যপান্থ হওনের দরকার। মা’রে এই লইয়ার দাদুর কথাডা লওনেরও দরকার। এইসব ফর্দ গুলাইন দুদুক জেঠারা কি ব্যবস্থা লইয়াছেন হিসাব লইবেন। পাহাড়েও দূর্নীতি করোনার চাইতেও শক্তিশালী বলিয়া বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা ফরমাশে করিতেছে। বিষয় খানা মাথায় রাখিবেন।

মা’জননীগো দেশ গেরামের হতভাগ্য দাদু-দিদিরা রাক্ষস করোনার খপ্পরে পড়িয়াছে। কীট তৈরী লইয়াও নানান কিচিমের দেন দরবার, ঠেলা গুতায় দেশের করোনা রোগী দাদু-দিদিদের অবস্থার বারোটা বাজিয়া যাইতেছে। ড. জাফর উল্লার, গ্লোবাল বায়োটেকের দাবির বিষয় আসয় ভাবনের দরকার। শিশু ফারিয়ার মৃত্যু হ¹ল বাবাগোর চোখের জল ছল্ ছল্ করিতেছে। দেশে বিদ্যুত বিলেও যদি এইভাবে গোঁজামিল হইয়া পড়ে তয় গ্রাহরাতো ফতুর হইয়া পড়িবে। গাজীপুরের কিশোরী আসমার ঘা শুকাইবার আগেই ঘা সৃষ্টিাকরীদের কঠোর হস্তে দমন করনের ওয়ার্ডার দেন। সাংবাদিক দাদুগোর উপর হামলার হেস্তনেস্ত করনের দরকার। চুরি চামারিও করিবে দুই চার কলম লেখিলেই উল্টো হামলা। মহামারি করোনার ভয়ে দেশের যেই পরিস্থি তার মইধ্যে নারি ধর্ষণ ঘটনা এইসবের দ্রুত বিচার করনের দরকার।

মা’গো করোনায় চট্টগ্রামের হাবা বাতাসতো ভারি হইতেছে। করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়িতেছে। মহানগরীর দাদু-দিদিরাতো ডাক্তারগোরে মিনতি করিয়া চেম্বারে ডাকিতেছে। আকুতির পরও পাষন্ড ডাক্তারগোর মন কাঁদে না। এসব লইয়া দ্রুত অভিযান চালাইতে ম্যাজিস্ট্রেট,গুরিন্দা, আইনসৃংখলা বাহিনীর সদস্যগোরে নামাইয়া দেন। মা’রে প্রশাসক নয় সিসিসি নির্বাচনে এগুনো যায় কিনা কমিশন লইয়া আগাইবেন। মহানগরে ঔষুধের দাম লইয়া যেই ফষ্টি নষ্টি হইতেছে দাদু-দিদিরা না খাইয়াই মরিবে। সোহেল দাদু কহিলো মহানগরে আবারো কিশোর গং বাড়াবাড়ি করিতেছে। তয় নয় হাজার কোটি টাকার কোকেন ঘটনার তদন্তের গন্তব্যে জটলা কেন। মা’রে আকামের বড় বড় ভাইরাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকিবেন। তয় নষ্টের পিছনের কালপ্রিট কারা তথ্য লইতে আদেশ দিবেন, বিষয় খানা মাথায় রাখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১২ জুলাই-২০২০খ্রীঃ