পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২৭
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২৭ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। সন্ত্রাসীরাতো গেল সপ্তাহেও দুই যুবককে পরপারে পাঠাইয়াছে। মনে হইতেছে খানিক দম লইয়া পরে অন্যের দম বন্ধ করিয়া দিতাছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেছে। এই অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই অবস্থা। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’জননীগো পাহাড়ে আমামীলীগের কাইজ কামেতো নেতৃত্বে ভিতরে বাইরে বহুত তালগোল চলিতেছে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের সম্মেলন যতই বিলম্ব হইতেছে ততই চালাচালি বাড়িতেছে। দলের বহুতে কহিলো চিচি নির্বাচনের পরে নাকি জেলা সম্মেলন অনুষ্টিত হইবে। দলের বিজ্ঞ দাদু দিদিরাতো কহিলেন চোর, ডাকাইত, বদমাইশ হইতে সাবধান থাকিতে। তয় দলের অংগসংগঠনের পরিস্থিতি ভালা মনে হইতছেনা। নেতৃত্বে যাইতে বহুত ধাপ্পাবাজ খাপ্পা মারিয়া বেড়াইতেছে। শহরের হাবা বাতাসে যা গন্ধসন্ধ পাইতেছি দুদকে নাকি দলের আড়াই ডজন দুর্নীতিবাজগোর নাম জমা রহিয়াছে। পাহাড়ের দাদু-দিদিরা চোর ডাকাইত হইতে বাঁচিলে আমামীলীগও বাঁচিবে বলিয়া স্লোগন চলিতেছে। দলকে চাঙ্গা করিতে এইসব চোর ডাকাইতের কান ধরিয়া টান দিতে সেতু দাদুরে ওয়ার্ডার করেন।
মেয়াদ শেষ ছাত্রলীগ নেতৃত্বে পাহাড়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে ঝাঁটা আর লাঠিসোঁটা লইয়া যেই কোন মুহুর্তে তুফান চালাইবে। পাহাড়েও ছাত্র নেতারা নাকি জামাত-শিবিরের সহিত চরম বন্ধুত্ব। যা জানিতেছি পিওর ছাত্র নেতা খুঁজিতে চালইন দিয়া ছাঁকিতে হইবে। এইখানে অ-ঘাটকে ঘাট বানাইতে যাইয়া মান, সুনাম ভাসিয়া যাইতেছে। গন্ধ সন্ধ ছড়াইতেছে ছাত্রলীগেতো নাকি ছেঁচড়া দাদুতে ভরিয়া টুইটম্বর হইয়াছে। দলের বিজ্ঞ আর চান্দি গরম দাদুরা কহিলো লেখা নাই, পড়া নাই তাগো হাতে নেতৃত্ব যাইয়া কালাইয়া সাদাইয়ারা চুরিচামারিতে কোটি কোটি টাকার মালিক। এইখানেও এনু-রূপন-পাপিয়াদের মতন টাউট শ্রেণীর নেতৃত্ব আর লুটেরার দলে ভারি রহিয়াছে। মা’রে এইসবদের রটনা পুস্কিার করিতে গুরিন্দা বাহিনীর দাদু-দিদিদের ওয়ার্ডার দেন। দূর্নীতির বিরুদ্ধে পাহাড়েও চিরুনী অভিযান চালান, দুই চাইরটারে জেলে ভরাইয়া দেন, এই পোড়াকপাইল্লাও আপনার দরবারে মানত করিতেছে।
মা’রে ফরমার ছাত্র নেতা বাপ্পি দাদু কহিলো পৌর সভার মেয়াদপূর্তির নয় মাস আগেই কেউ কেউ নাকি নেতাগোর দ্ধারে দ্ধারে ভোঁমরার মতন ঘুরিতেছে। যাহারাই নেতৃত্ব পাইয়াছে উন্নয়নের নামে চুরিচামাড়ির হুল গজাইয়া অসহায়দের চুষিয়া খাইতেছে। পাহাড়ে নেতারা করুনা করিতে যাইয়া নেতৃত্ব যেন দুর্নীতিতে আরেক করুনা ভাইরাসে পরিনত হইয়াছে। তিন পরিষদে তৈল পার্টি, মলম পার্টি, ঝাপ্পা পার্টি, উন্নয়নের নামে কাগজ কলমের পার্টিদের উপড়াইয়া ফেলিবেন। হুনিলাম জেলা পরিষদের সদস্য লাভে ঢাকা-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি দাবড়াইতেছে। চেয়ার পাইলেই মুনাফার মানসে তিন জেলার বহুত মতরখাও টক্কর মারিতেছে। উন্নয়ন বোর্ডের নেতৃত্ব লইয়াও ভাবনের দরকার। নিখিল, সন্তোষ, হাবিব, রোয়াজাদের দ্রুত কাজে লাগাইয়া দেন। দলের বিজ্ঞ চান্দি গরম নেতারাও তাই কহিতেছেন। হাবাবাতাস যা টের পাইতেছি নিখিল দাদু’র ফরমার নেতৃত্বে সুনামের পল্লা নাকি ভারি। তয় তাল গোল ঠিক রাখিয়া ব্যবস্থা লইবেন, এই অধমের পরামর্শ খানা বিচক্ষনতায় ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননী আমাগো পাহাড়ী নেতারাতো সন্ত্রাসী দমনের নামে বিচার বর্হিভুত হত্যাকান্ড বন্ধ করিতে চরম গরম প্রেস নোট ছাড়িতেছে। ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিলেও সন্ত্রাসী কেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকিবে প্রশ্ন ছুঁড়িতেছে। আঞ্চলিক দল উপদলের নেতারা সষ্যের ভিতর ভুতের বসবাস বলিয়া মাইক ফাটাইতেছে। বহুতে নাকি ঘুঁঠা দিয়া পাহাড় গরম করিতে ঘি ঢালিতে প্রস্তুত। যাঁরা তৈল-ঘি লইয়া দৌঁড়ায় তাহাদের চিহ্নিত করনের দরকার। এইভাবে লাট্টালাট্টি চলিতে থাকিলে বাট্টাই বাড়িতে থাকিবে। চুক্তির সুফল জনগন যাহাই পাইতেছে তয় কুফলের সুফলতো পাইতেছেনা। আমাগো পাহাড়ি বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অঘটন আদো ঘটে অবস্থার শেষ হইবে কিনা প্রশ্ন ছুঁড়িতেছে। পাহাড়ে আকাম বন্ধ করিতে অপরাধের বস্তায় বস্তায় মামলার লাইন ধরিয়া টান দেন। মানবতা বিরোধী কাজের দুই চাইরটা টান দিলেই ফত ফত করিয়া নাটের গুরু, লাটের গুরু, লুটের গুরু, পুশিং গুরু, খুশিং গুরু সবগুলাইন দাঁড় হইয়া যাইবে। বিজ্ঞ দাদুরা কহিলো এইভাবে বহুত আকামের চিহ্ন নাকি মুছিয়া যাইতেছে, চরম চিন্তার বিষয়। মা’জননী পাহাড়ে বহুত তামাসা চলিতেছে এই অধমের কথাডা বেদম বলিয়া গন্যু করিবেন।
মা’রে খাগড়াছড়ির পাহাড়ে হঠাৎ করিয়া বিজিবি-গ্রামবাসীর মুখোমুখী সংঘর্ষে বিজিবির এক সদস্য সহ পাঁচ নিহতের ঘটনায় পাহাড়ের দাদু-দিদিগোর চোখতো কপালে ঠেকিয়াছে। শান্তি আর উন্নয়নে আইনসৃংখলা বাহিনী-জনগনের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গি জড়িত। হেইখানে যদি দেহ-অঙ্গ হানি হয় বিশে^র দরবারে আমাগো উন্নয়নশীল দেশের সুনামতো ধুলায় মিশিয়া যাইবে। পাহাড়ের বর্ডার এলাকায় নাকি বহুত গন্ধ-সন্ধ জমিয়াছে। ছিড়া ফাটা দিয়া কামিং গোইং ঘটিতেছে। তয় পাহাড়ে র্যাব দাদুগোর ইউনিট কার্যক্রমের বার্তা জানিতে অধির আগ্রহে রহিয়া আমাগো অসহায় পোড়াকপাইল্লার দল। এই অভাগাওতো বহুত আগে ফরমায়েশ করিয়াছিলাম। যাহাতে পাহাড়ে আমাগো আরাম আয়েশে বেরামের সৃষ্টি না হয়। এইসব ঠিক করিতে বর্ডারে বল্লম মারিতে স্বরাষ্ট্র দাদুরে বার্তা দেন।
মা’জননীগো এনু, রূপন পাপিয়াগোর পাপে গোটাদেশে কুটি কুটি দাদু-দিদিগোর চোখতো কপালে। এই চুনোপুঁটিরা কোট কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার, এফডিআর, গাড়ি বাড়ি ফ্লাট, লুটপাটের টাকা ট্রাঙ্কে-বস্তায় থরে থরে ভরিয়াছে। দেশ গেরামের হতভাগ্য দাদু-দিদিরাযে রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে এই অধম, পোড়াকপাইল্ল্যা পাহাড়ী দাদুও আপনার দরবারে খোলাপত্র লেট ছাড়াই পাঠাইয়াছে। পাপিয়ার আকামের কুশীলবরা যাহাতে পলাইতে না পারে আঁটঘাট বন্ধ করিতে ওয়ার্ডার করিবেন। মা’গো এইসব চোর ডাকাইতরে দয়া দেখাইলে দেশের সৎ নেতৃত্ব, ব্যক্তিরা গঁয়া-কাঁশির চিন্তা করিতে হইবে। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষে ওয়াদা হইতে হইবে ক্ষেমাও নয়, ক্ষমাও নয় দূর্নীতির বিরুদ্ধে বুলড্রোজার চালাইয়া যাইবেন। হুনিলাম জিকে শামীমের জামিনকান্ড আইন আদালত অবমাননার শামিল। এইসবের পিছনের কালপ্রিট কারা তথ্য লইতে আদেশ দেন।
মা’রে দেশে করোনা ভাইরাসে যতটুকুইনা রোগি তার চাইতে ভয়ের রুগি হাজার হাজার। এই ভাইরাস লইয়া বহুতে ব্যবসাতেই ভাইরাস শুরু করিয়া দিয়াছে। এই হইলো লুটেরা ব্যবসায়ী কর্তৃক মানুষের রক্ত চুষিয়া খাওনের আরেক ভাইরাস চক্র। তয় কথা হইলো রোগ বালাই থাকিবে, রোগ না হওনের মতন চলিতে হইবে। মাক্স পড়িলেই যে রোগ হইবে না তার গ্যারান্টি কি মাক্স ব্যবসায়ীরা দিয়াছে। কথা হইলো মা’রে এইসব জলবায়ু পরিবর্তনেরই অংশ। জাতি বাঁচাইতে যত দ্রুত সম্ভব বনায়ন বাড়াইতে উদ্যোগ লন। না হইলে দেশে দাদু-দিদিরা বড় বড় ভাইরাস লইয়া হামাগুড়ি দিতে দিতে মরিয়া যাইবে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন লইয়া চট্টগ্রামে প্রার্থীগোর মইধ্যে উৎসব উৎসব ভাব চলিলেও ভোটারদের হাবভাব নাকি কি হইবে কি হইবে। বহুতে ডরে ভয়ে রহিয়াছে এবার কি হইতে যাইতেছে। সিসি নির্বাচনে আমামীলীগে প্রার্থী পরিবর্তন উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করিবে বলিয়া প্রচার চলিতেছে। ভোটাররা যাহাতে ভোট দিতে যাইতে পারে তার উৎসাহ যোগাইতে হইবে। লোকমান দাদু কহিলো ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ঢাকার আদলে বোমা হামলা মনে হইতেছে চক্রান্তকারী দলে পাল্লাভারি হইয়া ঝোপ বুঝিয়া ক্ষেপ মারিতেছে। বার আউলিয়ার দেশ হইতে আকামকারীদের উপড়াইয়া ফেলিতে ওয়ার্ডার দেন। দাম বাড়ানো লইয়া পিডিবি কি দেশের মানুষের সাথে তামাসা দেখাইতেছে। ফ্রি পেইড কার্ডেও লম্বর টিপিতে টিপিতে আঙ্গুলেতো ফোসকা পড়িতেছে। কোটি কোটি টাকার ইয়াবাকারবারীর বড় বড় দলের খবর জানিতে চাহে নগরবাসী। মা’রে চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে অভিযান অব্যাহত রাখিতে আদেশ করিবেন।
মা’জননীগো জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী পালনে জাতি অধির আগ্রহে রহিয়াছে। আপনিতো কহিলেন ‘মা’ যাঁহাদেও রান্না করিয়া খাওয়াইতো বঙ্গবন্ধকে তারাই হত্যা করিয়াছে। তয় তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৫ মার্চ-২০২০খ্রীঃ