[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২১

৩৯

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২১ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ঘটনায় মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। মাদক ইয়াবার মতন ধর্ষন ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখিবেন। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিয়াই যাইতেছে। দুর্বৃত্তরাতো চুক্তির বর্ষপুর্তির আগের দিনই মাদার ডিস্ট্রিক্টের একজনকে ব্রাশ করিয়াছে। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। অসহায়রা সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। দূর্বৃত্তরা পাহাড়কে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি চিহ্নিত করেন।

মা’জননীগো তিন পাহাড়ে আমামীলীগেতো চোর ডাকাতের বিচরণ বাড়িয়াছে। রাজনীতির মাঠের পরিস্থিতি কোন কূলে লইয়া যাইতেছে একমাত্র কূশলের পদস্থরাই জানেন। পাহাড়ের প্রত্যেকটি সেক্টরে উন্নয়ন চালাইতে বাঁধা আপত্তিগুলাইন লাইনে আনিতে সুদক্ষ উদ্যোগ লইবেন। মাদার ডিস্ট্রিক্টের সম্মেলন তলে তলে তালিমালি হইতেছে। সম্মেলন সম্পন্ন করিতে সেতু দাদুরে শক্ত করিয়া আগাইতে ওয়ার্ডার করিবেন। বিজ্ঞ দাদুরা কহিতেছেন যে যাই বলুক পাহাড় উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী সংগঠন হইলো জনসংহতি সমিতি। তয় পাহাড়ে আমামীলীগের নেতা নেত্রীরা রাজনৈতিক পরিবেশের যেই অবস্থা তৈরি করিয়া রাখিয়াছে তাহাতে আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র সম্পর্ক হইলো তেতুল আর চাইলে। দীর্ঘ বছর ধরিয়া সম্পর্কের ফারাক লইয়াতো চিরতা আর বহুত গর্ত সৃষ্টি হইয়াছে। রাজনৈতিক সৃষ্ট গর্তগুলাইন ভরাট করিতে আপনার উদ্যোগ পার্বত্য বাসীর জন্য প্রশংসার ভূমিকা রাখিবে। আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র সম্পর্ক উন্নয়নে সন্তু দাদুরে কাঁছে টানিয়া লইবেন। আঞ্চলিক দলের নামে মানবাধিকার লংঘনে জড়িতদের ভালো করিয়া টাইট দেন। ৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন করিতে তিন পাহাড়ের শান্তি প্রতিষ্ঠারও বিকল্প নাই। এই অধমের পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’রে হুনিলাম নতুন বছরে মন্ত্রী রদবদল করিতেছেন। তয় আপনার পরিষদে ব্যর্থ’র তালিকা যাই হোক, কিছু মন্ত্রী’র বদলের প্রয়োজন। দল আর রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থে বিজ্ঞ আর বিচক্ষণ ব্যাক্তিদের চেয়ারে বসাই দিবেন। যে কোন কৌশলে দলের সৎজনদের জন্য উদ্যোগ লইবেন। দেশ শাসনের মিশন বাস্তাবায়ন করিতে মন্ত্রী পরিষদ শক্ত করিয়া তৈরী করনের বিকল্প নাই। দেশে যেই ভাবে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার চলিতেছে তাহা বন্ধ করিতেই হইবে। জাতিতো আপনার দিকেই তাকাইয়া রহিয়াছে। তয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য পরিবর্তন লইয়া যা করনের দ্রুত করিবেন।

মা’রে দেশেতো এখন টক অব দ্য রাজাকার,আলবদরের তালিকা। কিভাবে এই তালগোল হইয়া পড়িয়াছে। মুক্তি যোদ্ধা রাজাকার, আবার রাজাকারই মুক্তি যোদ্ধা দেশের দাদু-দিরিাতো ছি ছি করিতেছে। ক্ষোভে দুঃখ বেদনায় রাস্তায় নামিয়াছে মুক্তি যোদ্ধা পরিবার। মা’রে অজ্ঞতায় বিজ্ঞতার ক্ষতি আর বিজ্ঞজনেরা অসম্মানীত হয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় দীর্ঘ বছর ধরিয়া কি ঘোড়ার ঘাস কাটিয়াছে। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের তালিকা লইয়া বিশে^র দরবারে বাংলাদেশকে হাসির খোরাকে পরিনত করিয়াছে। দ্বায়িত্বরত অধমদের বেদম তিরস্কার করিয়া অবসরে দেন।

মা’গো নাসিম দাদুদের বাজে বকা বন্ধ করনের দরকার। আরে নিজের ঘরের দরজা জানালার ঠিক নাই অথচ অন্যেরটা বন্ধ করিতে হাঁক ডাক, যাউ¹া হেইসব কথা। রশিদ দাদু’র অভিযোগ দেশের ব্যাংক গুলাইনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনাতো শেষই হইতেছেনা। উন্নয়নের পাঁচপান্ন হাজার কোটি টাকা নাকি খেলাপিগোর পকেটে। জনগনের টাকাতো কোটস্যুট ওয়ালা নামী দামি লুটেরাগোর পকেটে গিয়াছে। ব্যাংক ওয়ালারাও দেখি ঝোপ ঝাড় দেখিয়া টাকা ঢালিতেছে। তাইনেরা কি হাজার হাজার কোটি টাকা বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি বিক্রি করিয়া ঋণ ঢালিয়াছে। ব্যাংকগুলাইন জনগনের টাকা লইয়া চোর ডাকাতের সাথে বন্ধুত্ব করিতেছে। নামধারী শিল্পপতিদের ঘার মটকাইয়া দেশের জনগনের টাকা আদায় করিতে কড়া ওয়ার্ডার করিবেন।

মা’জননীগো মিয়ানমারের গাদ্দারী কমাইতে বিশে^র দেশগুলাইনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো বেশী জোরদার করনের দরকার। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের আদেশ নির্দেশ মানিয়া আমাগো কর্তাব্যাক্তিরা যাহাতে সামনের দিকে আগাইয়া যায় হেই দিকে খেয়াল রাখিতে হইবে। ভারতেও নাগরিকত্ব বিল লইয়া মানুষ এখন রাস্তাঘাট আর খালে বিলে দৌড়াইতেছে। দাদু-দিরিাতো ১৪৪ ধারা ভাঙ্গিয়া সরকারকে ভৎসনা করিতেছে। পশ্চিমবঙ্গের মমতা দিদিতো মানবতাকে আগলাইয়া ধরিতে এখন রাস্তায় নামিয়াছে। মিয়ানমার ভারত যা শুরু করিয়াছে তাহাতে সুদক্ষ দৃষ্টি রাখিতে হইবে। আমাগো মন্ত্রী আর কর্তাবাবুরা যাহাতে লাইনগোজ ঠিক রাখি কথা কহেন তার খেয়াল রাখিবেন। দেশের বর্ডার এলাকায় নজর বাড়াইতে বিজিবি’কে আদেশ করিবেন। উন্নয়নের মিশন ঠিক রাখিতে পারিলে ভিশন বাস্তাবায়ন হইবে। মা’রে আমাগো অর্জন বুঝিয়া বজর্নের ডাক দিতে হইবে।

দেশের গবেষক দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন সহিংস উগ্রবাদ কমিলেও দেশে মৌলবাদ নাকি বাড়িয়াছে। তাইনেরা যা উত্তাপন করিতেছে তাহাতে বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়াদের সংখ্যাই নাকি বেশি। গবেষকদের এইসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ লইতে স্বরাষ্ট্র দাদুরে আদেশ করিবেন। মা’রে মিরপুরের ২৮৭ তরুনীর সর্বনাশের হোতা জাকির বেপারী ভুয়া রব্বানীর নরমভাবে চরম চিটার কামের এই নারী ধর্ষনকারীর বিচারও দ্রুত করেন। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলেজ ছাত্রীকে যৌনকর্মী বানানোর দায়ে ইউপি চেয়ারমন মতিয়ারের খবর কি জানিতে চাহে। যশোহরে মেয়েকে বাঁচাইতে জীবন দিলেন পিতা। গণধর্ষনের শিকার হইলো ফিরোজপুরের তরুনী, ধামরাই এর গৃহবধু। সংবাদপত্র খুলিলেই দেশের নারীরা কিভাবে বাঁচিয়া আছে তা পুরিস্কার। মা’গো নুসরাত ঘটনার মতন সকল নারী নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষন ঘটনার বিচার এইভাবেই দ্রুত করেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে হাইকোর্ট এর উপদেশ, আদেশ, নির্দেশ মানিয়া কাজ করিবেন।

মা’জননীগো পেয়াঁজ লইয়া মহা দূর্নীতি লুটপাটের হোতাগোর পরসমাচার কই। দেশের কুঠি কুঠি দাদু-দিদিরা পিাঁজ লুটেরা বিচার দেখিতে আপনার দরবারে মিনতি জানাইয়াছে। পিঁয়াজ কারসাজির সাথে জড়িত রাজস্ব বোর্ডের চিহ্নিত ৩৪১’র উপর বুলডোজার চালান। কৃষদের চাম পোড়াইয়া চাষ হয় আর লাভ চলিয়া যায় ফড়িয়াগোর পকেটে, এই হইলো আমাগো পোড়াকপাইল্ল্যা কৃষকের ভাগ্য। চাইল, পিঁয়াজ লইয়া এইসব চোর ডাকাতের লাইন টান মারিলেই থলের বিড়াল বাহির হইবে। রাহেলা দিদির দশ বছরে দেশে ফিরিয়াছে সাতাইশ হাজার প্রবাসীর লাশ এই মহা অভিযোগের বিষয় জাতিকে জানাইবেন। আমাগো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বসিয়া বসিয়া শুধু কি লাশ গুনিতেছে। দেশের মানুষকে লাভের আশায় প্রবাসে খেদাইয়া যদি লাশই হয় তয় দরকার কি।

মা’রে চট্টগ্রাম মহানগরীর দাদু-দিদিরা নাকি স্মৃতিসৌধহীন আটচল্লিশ বছর পার করিয়াছে। ১১৬ বদ্যভুমি নাকি অযত্ন আর অবহেলায়। শত বছরের স্মৃতি মুছিয়া গার্মেন্টস, তাইজ্জব কান্ড। এইসব বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ লইবেন। কর্ণফুলীকে বাঁচাইতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ লইয়া কোন আপস নয়। যারা অবৈধভাবে নদী নালার জায়গা দখল করিয়াছে সকল স্থাপনায় বুলডুজার চালানো যাহাতে বন্ধ না হয়। আমাগো মহানগরীর বহুত স্থানে কিশোর গ্যাংকের লাগাম টানা মুশকিল হইয়া পড়িয়াছে। হিজবুতের আঞ্চলিক প্রধানসহ পনর নেতাকর্মী আটক ঘটনায় পর সমাচার কি নগরবাসী জানিতে চাহে। আবারো আট লাখ টাকার ইয়াবা চালান ধরা খাইয়াছে। গ্যাস বিতরণ কুম্পানির ভিতরে নাকি চোর ডাকাত ছাঁকিয়া ফেলিতে হইবে। রোহিঙ্গ্যা ভোটার তালিকার পিছনে চসিকের কাউন্সিলর, নগরবাসীকে ভাবাইয়া তুলিয়াছে। মাদক আর নারী ধর্ষণ ঘটনায় দেশকে মহাপ্রলয়ের দিকে লইয়া যাইতেছে। মা’রে যে কোন মূল্যে এইসবকে বন্ধ করিতেই হইবে। চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে অভিযান অব্যাহত রাখিতে আদেশ করিবেন।

মা’গো জাতিতো আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস আর দুঃখ বেদনা লইয়া শহীদ বুদ্ধিজিবী দিবস পালন করিয়াছে। মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২২ ডিসেম্বর-২০১৯খ্রীঃ