[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২০

৩৩

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২০ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতির ঘটনায় মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। মাদক ইয়াবার মতন ধর্ষন ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখিবেন। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিয়াই যাইতেছে। দুর্বৃত্তরাতো চুক্তির বর্ষপুর্তির আগের দিনই মাদার ডিস্ট্রিক্টের একজনকে ব্রাশ করিয়াছে। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। অসহায়রা সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। দূর্বৃত্তরা পাহাড়কে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি চিহ্নিত করেন।

মা’জননীগো পার্বত্য চুক্তি লইয়া তিন পাহাড়েতো ব্যাপক আনন্দ উদ্দীপনায় বর্ষপূর্তি পালন করিয়াছে মানুষ। তয় চুক্তির স্বাক্ষরদাতা প্রতিষ্ঠান জনসংহতি সমিতির গণসমাবেশেতো চুক্তিকে মেলায় পরিণত করা হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করিতেছে। চুক্তির স্বাক্ষরদাতা প্রতিষ্ঠান জনসংহতির রাগ ক্ষোভ পশমিত করিতে সন্তু দাদুরে সাথে লইয়া ভাবিবেন, শান্তির জন্য আগাইবেন। আঞ্চলিক দলের নামে অত্যাচারী সংগঠন গুলাইনরে ভালো করিয়া টাইট দেন। চাকরি ফেরত এক দাদুতো কহিলেন, পাহাড়ের খরাখবর লইয়া বহুত অন লাইন নাকি আগুনে ঘি ঢালিতেছে অবস্থা, তাইনেরা নাকি আহত হইলে মারিয়া ফেলে, নিহত হইলে আরো যোগ করিয়া বসে, যাউ¹া হেই সব কথা। ডিস্ট্রেক্টেতো আমামীলীগের তৃণমুলে পুরাতনের দখলে। জেলা সম্মেলন লইয়া দলের বহুতে আবারো থাকিতে কলকাঠি নাড়াইতেছে। কেউ কেউ ইস্যু খুঁজিতেছে সম্মেলন বন্ধ করিতে, আবার কেউ কেউ নোটও ছাড়িতেছে বহুতে বগলের তলে বাঁশি ফুটাইতেছে। হুনিলাম জেলা সেক্রেটারী মুছা দাদুর সহিত নেতাগোর মইধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ চলিতেছে। বহুত সুবিধা লইয়াছে স্লোগানে দলের বহুতেতো মুছাকে পদ পদবি হইতে মুছিয়া ফেলিতেও বড় জোঁট বাঁধিয়াছে। মুছাতো সাবেক এমপি চিনু দিদির বিরুদ্ধেও কতোয়ালীতে অভিযোগ করিয়াছে। তাইনেগোর নেতৃত্ব হইলো দলের ভাবমূর্তি শুন্যের দিকে ধাক্কা মারা। মা’রে এইসব অযোগ্যদের যোগ্য বলিয়া চালানো বন্ধ করিবেন। অজ্ঞ আর লাভের স্বার্থ বিনিময়ে নেতৃত্বে বসাইলে চোর ডাকাতেরই বিস্তার ঘটিবে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের নের্তৃত্ব পাল্টাইতে ওয়ার্ডার করিবেন।

মা’গো পাহাড়েও দুর্নীতি ওষ্টে পিষ্টে লাগিয়া রহিয়াছে। উন্নয়নের নামে ক্যাসিনোর মতন খেলা চলিতেছে। কোটি কোটি টাকা ললিপপের মতন চুষিয়া খাইতেছে। জেলা কমিটির কালাইয়া-সাদাইয়ারাতো শতউর্ধো কোটি টাকার মালিক বনিয়াছে। দলের বহুত নেতা নেত্রীর নাকি টাকার ওজনই বেশী হইয়া পড়িয়াছে। সংরক্ষিতের সাবেক এমপি চিনু দিদির বহুত উন্নয়ন প্রকল্পতো নাকি উদাও হইয়াছে। তয় স্বতন্ত্র দাদুরও নাকি ঐ একই অবস্থা। মা’গো এরা হইলো চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। মাদার ডিষ্ট্রিক্টে লুটেরা, জাতিবিদ্বেষী, লুইচ্চাগোর হাতে আমামীলীগের নেতৃত্ব যাইয়া দলের বারোটা বাজিয়াছে। নেতৃত্ব কর্তৃত্ব আর উন্নয়ন রক্তচোষা জোঁকের দলেই বন্ধী। দলের এক দাদুতো কহিলেন দুদকের হাতে দশ বারোজনের নাম জমা পড়িয়াছে। দয়া করিয়া লুটেরা এইসবরে টান দেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদককে প্রকাশ করিতে আদেশ দিবেন। মা’রে যারা একবার চেয়ার পায় তারা আর ছাড়ে না উল্টো অন্যের চেয়ারে আগুন দেয়। তয় নেতাগোর চেয়ারের দিনক্ষণ নির্ধারন করিয়া দেন। দূর্নীতির বিরুদ্ধে তিন পাহাড়েও স্ট্রীম রোলার চালান দেখিবেন ফত ফত করিয়া বাহির হইবে। দাদুর এই পরামর্শখানা কাজে লাগাইবেন।

আমাগো মাইয়া নুসরাত হত্যার বিচার রায় জাতি দেখিতে অধীর আগ্রহে রহিয়াছে। ওসি মোয়াজ্জেম সাহেবের দন্ডও কামের কাম হইয়াছে। ধর্ষন ঘটনার বহুত পুলিশ সদস্যের বিচারও দ্রুত করিতে আদেশ দিবেন। মিরপুরের ২৮৭ তরুনীর সর্বনাশের হোতা জাকির বেপারী ভুয়া রব্বানীর নরমভাবে চরম চিটার কামের এই নারী ধর্ষনকারীর বিচারও দ্রুত করিতে ওয়ার্ডার করিবেন। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলেজ ছাত্রীকে যৌনকর্মী বানানোর দায়ে ইউপি চেয়ারমন মতিয়ারকে ডান্ডাবেরী পরাইতে আদেশ করিবেন। যশোহরে মেয়েকে বাঁচাইতে জীবন দিলেন পিতা। গণধর্ষনের শিকার হইলো ফিরোজপুরের তরুনী, ধামরাই এর গৃহবধু। সংবাদপত্র খুলিলেই দেশের নারীরা কিভাবে বাঁচিয়া আছে তা পুরিস্কার। মা’গো পাঁচ/দশটারে ক্রসে দেন। নুসরাত ঘটনার মতন সকল নারী নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষন ঘটনার বিচার এইভাবেই দ্রুত করেন। আইনের শাসন নিশ্চিত করিতে অরো কঠোর হইবেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে হাইকোর্ট এর উপদেশ, আদেশ, নির্দেশ মানিয়া কাজ করিবেন। মা’রে হুট করিয়া ঢাকা ও সাতক্ষীরায় ছয় জঙ্গির আটক ঘটনাতো চিন্তার বিষয়। তয় নব্য জেএমবিও নাকি চলিতেছে। আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদুতো কহিয়াছিলেন দেশে নাকি জঙ্গী নাই।

মা’জননীগো পেয়াঁজ লইয়া মহা দূর্নীতি লুটপাটের হোতাগোরে হাতকড়া লাগাইয়া টানিতেই হইবে। পিঁয়াজ কারসাজির সাথে জড়িত রাজস্ব বোর্ডের চিহ্নিত ৩৪১’র উপর বুলডোজার চালান। কৃষদের চাম পোড়াইয়া চাষ হয় আর লাভ চলিয়া যায় ফড়িয়াগোর পকেটে, এই হইলো আমাগো পোড়াকপাইল্ল্যা কৃষকের ভাগ্য। চাইল, পিঁয়াজ লইয়া ক্যাসিনোর ঘটনার মতন টান মারিলেই থলের বিড়াল নয় রীতিমতন বন বিড়ালও বাহির হইবে। তয় ক্যাসিনোকান্ডের দুইশত আর ভাগের তালিকায় সাংবাদিকের নামের পর সমাচার কই। রেলের পশ্চিম অঞ্চলে লুটপাটের কোটি টাকার পিছনের হত্যাকর্তাগোরে সামনে আনিতে ওয়ার্ডার করিবেন। রাহেলা দিদির দশ বছরে দেশে ফিরিয়াছে সাতাইশ হাজার প্রবাসীর লাশ এই মহা অভিযোগ খতিয়ে দেখনের দরকার। আমাগো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বসিয়া বসিয়া শুধু কি লাশ গুনিতেছে। দেশের মানুষকে লাভের আশায় প্রবাসে খেদাইয়া যদি লাশই হয় তয় দরকার কি। মা’রে এমপি লিটন হত্যার রায়তো দায়রা জজ মৃত্যু দন্ড লিখিয়াছে। সো, নো ইন্টারফেয়ার এ্যানিবডি ইন দ্য জাজমেন্ট ফর গুড লিডারশীপ।

মা’রে আমাগো চট্টগ্রাম মহানগরীর বহুত স্থানে কিশোর গ্যাংকের লাগাম টানা মুশকিল হইয়া পড়িয়াছে। এই গ্যাংক বাহিনীর আকামের মানসিক টেমপারেচার কমাইতে কঠোর ব্যবস্তা লওনের দরকার। হুনিলাম হিজবুতের আঞ্চলিক প্রধানসহ পনর নেতাকর্মী আটক ঘটনায় আইনসৃংখলা বাহিনীর সদস্যগোর কপালে নাকি ভাঁজ পড়িয়াছে। পেকুয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বস্তাবন্ধী লাশের পিছনে কারা। মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডার, অবৈধ গ্যাস লাইনের লিকেজতো বোমায় পরিনত হইয়াছে। গ্যাস বিতরণ কুম্পানির ভিতরে নাকি চোর ডাকাতের সংখ্যা বাড়িয়াছে। এইসব ছাঁকিয়া ফেলিতে হইবে। কর্ণফুলীকে বাঁচাইতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ লইয়া কোন আপস নয়। যারা অবৈধভাবে নদী নালার জায়গা দখল করিয়াছে সকল স্থাপনায় বুলডুজার চালাইনো যাহাতে বন্ধ না হয়। চট্টগ্রামে মানব পাচারকারীর দলতো এখন চরমে। মাদক কোকেন আনোয়াইজ্জার পিছনে কারা কারা রহিয়াছে ছেঁচা দিলেই বাহির হইয়া পড়িবে। কক্সবাজারের টেকনাফে মাটির নিচে সোয়া কোটি টাকার ইয়াবা, চট্টগ্রামের মইজ্জার টেকের একুইশ লক্ষ টাকার ইয়াবা পাবলিকও চিন্তায় পড়িয়াছে। মাদকেতো দেশকে মহাপ্রলয়ের দিকে লইয়া যাইতেছে। মা’রে যে কোন মূল্যে জাতি ধ্বংকারী এই মাদককে না করিতেই হইবে। চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে কঠোর অভিযান চালাইবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জইন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, ভালো থাকিবেন, সব দিকে নিজের খেয়াল রাখিবেন, ভারো থাকিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ৮ ডিসেম্বর-২০১৯খ্রীঃ