[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-১

৪৫

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি আপনি অপার দয়াময় সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে আর রহমতে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজনের অধিক কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া কোন রকম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায় গুলি খাইয়া, মাথা ফাঠাইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতার পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া আপনার দরবারে এই পোড়া কোপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে কিছু জানাইতে, ভাবিতে, ভাবাইতে আর আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, এই প্রত্থম দুই চার কলম লেখা শুরু করিয়াছি। এই অধমের খোলা চিঠিখানা মন দিয়া পড়িলে পাবলিক দাদি-দাদিসহ আমি অধমও খুশি হইবো। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনায় আসি…

মা’জননীগো স্বাধীনতার পর হইতেই পার্বত্য চট্টগ্রাম লইয়া জাতি কত্তো কান্ডকারখানাইনা দেখিয়াছে। আমাগো স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে পার্বত্য রাঙ্গামাটি সফর করিয়া পাহাড়ের মানুষের উন্নয়নে বহু স্বপ্ন দেখিয়াছিলেন। কিন্তু কালের তালে, রাজনৈতিক আর ষড়যন্ত্রকারীগোর বেড়াজালে পতিত হইয়া পাহাড়ের মানুষের আর বঙ্গবন্ধুর দেখা ঐ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিনত করিয়াছে। জাতি স্বাধীনতার এ মহামানবকে হারাইয়া শতবছরের তলায় পরিয়াছে। স্বাধনিতা বিরোধী, দুস্কৃতকারীরা দেশের মেধা ধ্বংস করিতে উঠে পরে লাগিয়াছে। এখনো ওঁৎ পাতিয়া রহিয়াছে। সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় জাতিকে অবক্ষয় হইতে রক্ষা করিতে আপনার নেতৃত্ব শতবছরের তলা হইতে দেশ এখন বীরদর্পে আগাইয়া গিয়াছে। এই দেশকে লইয়া তলে তলে কতো চক্রান্তইনা হইয়াছে। এই চক্রান্ত এখনো থামে নাই। বিশে^র দরবারে বঙ্গন্ধুর সোনার বাংলার দেশের মানুষ যে হ¹ল প্রতিকূল কাটাইয়া দেখাইতে পারে তা আপনিইতো প্রমান। যাউ¹া সেই সব কথা, এইবার পাহাড়ের সুখ দুঃখের কথায় আসি…

মা’রে পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনায় দেখিলেও কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য এলাকায় যে কতো কান্ডকারখানা দেখিতে শুনিতে হইতেছে তা গা সোঁয়ারও বাইরে। পাহাড়ের আকাম কু-কামতো চলিতেছেই। এইখানে কারে কে পটাইবে, ফাঠাইবে, ফুটাইবে এইসব লইয়া মাঝে মইধ্যে পাবলিকও চান্দি গরম করিয়া বসে। এত্তো সুন্দর পাহাড়েও প্রতিহিংসার রাজনীতি লইয়া মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়ে। তখন ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক দাদা দাদীরাও ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করে। প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলের অনেক দাদা দাদীরা কহেন সন্ধ্যার পর নাকি দূর্বৃত্তগোর ডরে ভয়ে মানুষ ঘরবাড়ির স্থান ত্যাগ করিয়া অন্যত্র যাইয়া রাত্রি যাপন করিতেছে। এই দূর্বৃত্তরা পাহাড়েতো আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্য, ধনপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ। আপনার দলের নেতা দীপংকর দাদাতো অবৈধ অস্ত্র লইয়া একাই আন্দোলন চালাইয়া যাইতেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন কোন সপ্তাহ মাস নাই যে দূর্বৃত্তগোর হাতে মানুষের প্রান যাইতেছেনা। পত্রপত্রিকা খুলিলেই দেখি ওমুক গ্রুপ তমুক গ্রুপের কর্মীকে হয় পরপারে নয় পঙ্গু বানাইয়া বাড়ী ঘরে, নয় অপহরন করিয়া কু-কামের আস্তানায় পাঠাইয়া দিতাছে। আবার হেই খান হইতে তাইনেরা জানপরান লইয়া ফেরত দিলেও পারে, না দিলেতো পরপারে এই অবস্থা। এইসব ঘটনায় আমাগো পাহাড়ের অসহায় মানুষতো তাইনেগোর জানপরান নখের কোনায় লইয়া চলাচল করিতেছে এ অসহায় পাবলিককে বাঁচাইতে আপনারেতো গভীর ভাবে ভাবিতে হইবে।

গেল সপ্তাহের ২৬ জানুয়ারী শ^শুরবাড়ী বেড়াইতে গিয়া দিনে দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে খাগড়াছড়ির গাছবাগান এলাকায় বৈষ্ণব ত্রিপুরা আবার সমবার দুপুরে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে মংসিনু মারমা (৪৫), জাহিদুল ইসলাম (৩৫) পরপারেই চলিয়া গিয়াছে। আবার বৃহস্পতিবা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গুলি করিয়া রণি ত্রিপুরাকে প্রতিপক্ষরা গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে। দূর্বৃত্তরা এইভাবে পাহাড়ে গুলি করিয়া পাখির মতন মানুষ মারিলেও কেউ স্বীকার করেনা খালি প্রেসে বিজ্ঞপ্তির রাস্তা ধরিয়া দুই চারকলম হা-না’র দাবিদাওয়ার বক্তব্য দিয়া ঘটনার ধামাচাপা দিয়াই যাইতেছে। লুটেরা টাউট শ্রেণীর দল আর দূর্বৃত্তরাতো গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে ললিপপের মতন যেইভাবে চুষিয়া খাইতেছে তাহাতে মনে হইতেছে পাহাড় চুড়াকে হত্যাযজ্ঞ আর লুটপাটের চুরান্ত চুড়ায় পরিনত করিয়াছে। এইখানে হত্যাকান্ডের ঘটনা লইয়া মাঝে মইধ্যেতো সাম্প্রদায়িক সাম্প্রদায়িক ঘটনারও গন্ধ ছড়ায়। ৯৭ সালে আপনার সরকারের স্বাক্ষরে করা পার্বত্য চুক্তি মানুষের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য করা হইলেও আপনি কথা রাখিয়াছেন পাহাড় পর্বত উন্নয়নে আগাইয়াছেন ঠিকই অথচ মানবতাকে যারা পায়ের তলায় পিষ্ট করিয়া মারিতেছে মুষ্টিমেয় দূর্বৃত্তের দল তাগোরে দমাইতে আশানুরূপ ফল পাইতেছেনা মানুষ। মা’রে এইসব ঘটনা বন্ধ করিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ উপদেশ দিয়া আপনারে আগাইতে হইবে।

মা’গো পার্বত্য চট্টগ্রাম লইয়া সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, পেশী শক্তি আর দখলদারিত্বের রাজনীতির কারনে পাহাড়ের মানুষ নিজেদের পছন্দের নেতা-নেতৃত্ব সৃষ্টি করিতে পারিতেছেনা। যে একবার চেয়ার পাইয়া বসে সেও নাকি তলে তলে অন্যের জন্য খালি রাখিতে চাহে না। যা দেখিতেছি ক্ষমতার একক কর্তৃত্বের কারনে বিতাড়িতরা চেষ্টা করিতে যাইয়া হয় পরের তরে নয় ঘরেবাড়িতে এই অবস্থা। তয় এই পাহাড়ে আপনার দলেরও হেই একই অবস্থা। এইখানে নাকি দলের নেতৃত্বে অজ্ঞরা নেতা হইতেছে আর দলের ত্যাগী-বিজ্ঞরা ছেড়াফাটা কাঁথারে সম্বল করিতেছে। দলের ত্যাগী-বিজ্ঞরাতো কহিতেছেন নেতৃত্বে নাকি এইখানে অ, জি, হ্যাঁ, হুঁ এই অবস্থা। দলের বহু বিজ্ঞ অজ্ঞরা আরো কহিলেন এক পাতিলের ভাত কতইনা খাইবে এই পাতিলের ভাতের গুন নাকি সৃষ্টিশীল নহে এইসব বিষয় লইয়া আপনার চিন্তা করা উচিত বলিয়া এ অধমের মনে হইতেছে।

মা জননীগো আপনার দলের চান্দি গরম নেতারা কহিলেন, আমাগো মাদার ডিস্ট্রিকে জেলা পরিষদে নাকি নিখিলের আগে পরে আর কোন গুনধর চেয়ারমান আসে নাই। এইবারতো গনকের রাশি মার্কা বাবুরে চেয়ারমান দিয়া কামের কাম যা হইয়াছে তাইনেরে নাকি পিছন হইতে ঠেলা দিলে আগাইয়াছে না দিলে নাকি খাম্বার মতন খাড়া হইয়া দাঁড়াইয়াছে। পরিষদ সদস্যরাও নাকি তলে তলে নিজেগোর ভবিষ্যৎ ব্যালেন্সে কষ্ট না পায় মতন আগাইয়াছে। এইসব লইয়া দলেতো বহুত নেতাকর্মী নাকি তলে তলে ফাঁফিয়া রহিয়াছে। হিসাবে পটু বহুত পাবলিক দাদা দাদিরাতো ঠেসগুঁতা মারিয়া কহিতেছেন মাদার ডিস্ট্রিকের প্রান কেন্দ্র জেলা পরিষদ নাকি এই পাহাড় টিলার দ্বিতীয় খাদ্যগুদামে পরিনত হইয়াছে। গরিবের উন্নয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য’র বরাদ্দ নাকি তলে তলে দলের হোমড়াচোমড়াগোর ভুড়িঁ বাড়াইয়াছে আর কাগজপত্রের মাধ্যমে অঘাটে ঢালিয়াছে। আমাগো সাংবাদিক দাদারাও কহিলেন জাতীয় দিবসগুলাতে পত্রিকায় নাকি দু-চার টাকার বিজ্ঞাপন দিতে পারে না অথচ লুটিয়া চাঠিয়া খাইতেছে। আপনার দলের বঞ্চিতরা কহিলেন, পরের বারও নিখিল দাদারে দিয়া চালাইলে বহুত ভালা হইতো। পাহাড়ের শেষ সীমানা হইতে কেন চেয়ারমান বানাইয়াছেন অজ্ঞ-বিজ্ঞ পাবলিক দাদা-দাদিরাও খালি কুইশান করিতেছে। আমি অভাগা পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবও ভাবিয়া কুল পাইতেছিনা। মা’রে আপনারতো উচিত যত খাদ্য পাঠাইয়াছেন তার হিসাব চাহনের। তয় একটু একটু গন্ধ পাইয়াছি জেলা দুদকে নাকি কিছু অভিযোগ জমা পড়িয়াছে, এই ফর্দ আপনারে জানাইতে দুদুক চেয়ারমানরে আদেশ করিবেন। এইসব ভাবিয়া আপনারে পদক্ষেপ লইতে হইবে, হিল ট্রাক্ট লইয়া ভালো করিয়া চিন্তা করিবেন।

মা’রে গেলবারতো সংসদে সংরক্ষিত আসন হইতে চিনু দাদীরে চেয়ার দিয়াছিলেন কিন্তু এই চেয়ার নাকি লেনচুষের মতন হইয়াছিল। ভুক্তোভোগীরাতো হাত বাড়াইয়াও নাকি খালি হাতই পকেটে ভরিয়া ফিরিতো। গত ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে এই নেত্রীতো দলের বিদ্রোহী হইয়া দলের বর্তমান সেক্রেটারী মাতব্বর দাদার বিরুদ্ধে যাইয়া তাইনে বাইশ শতের কিছু বেশী ভোট পাইয়াছিল, তাইনেতো জামানতও খোয়াইয়াছিলেন বলিয়া দলের মাওলা দাদা কহিলেন। অথচ জামানত লস্ মার্কারে সংসদে নারী আসন দিয়া রাঙ্গামাটির পাহাড়ে কি জনপ্রিয়তা বাড়িয়াছে? বিদ্রোহীরে কি ভাবে চেয়ার দিলেন পাহাড়ের দাদা দাদিরা ক্ষোভে আছিল। কিন্তু যাতো গিয়াছে গিয়াছেই পরবর্তি পরিষদ, সংসদের সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী ঘোষনা করিলে অন্তত দুইবার চিন্তা করিবেন, নিজেই তদারকি করিয়া চেয়ারে বসাইবেন এইডা আপনার মাথায় রাখিতে এই অধমের পরামর্শ থাকিল। মা’জননীগো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে লইয়া আপনার আগনের দরকার। দলের বহুত বিজ্ঞ নেতা দাদা-দাদিরা থাকিতে সরকারি কর্তা দিয়া বোর্ড চালাইতেছেন কেন? এই প্রশ্নতো আপনার দলের নেতাগোর। এই বোর্ডে নিজের দলের নেতা না বসাইয়া মনে হইতেছে চরম ভুলও হইয়াছে। বোর্ডের কর্তারাতো তলে তলে অঢেল লুটপাট করিয়াছে বলিয়া বোর্ডেরই অভাগা ছোট ছোট কর্তারাও অভিযোগ করিতেছেন। তয় রাজনৈতিক বিজ্ঞ বিশ্লেষক দাদা দাদিরাতো কহিতেছেন এইবার নিখিল, হাবিব, সন্তোষ, রোয়াজা,দাদারে কাজে লাগাইতে। এরই মইধ্যেতো দলের বহুত ক্ষতি হইয়াছে তয় উন্নয়ন বোর্ড লইয়া এইবার একটু ভাবিয়া ঐ চেয়ারে দলের জনবান্ধব একজন চতুরচালাক বসাইয়া দেন।

মা জননীগো অপার দয়াময় সৃষ্টি কর্তার কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে গেল ৩০ ডিসেম্বর সংসদের এগারতম এলেকশানে ফাষ্টকেলাশের আসন পাইয়া আবারো সরকার গঠন করিয়াছেন। নির্বাচনের পরতো মানা না মানা লইয়া রাজনৈতিক নেতা নেতৃরা পথে ঘাটে সভা সমাবেশ আর বহুত চিল্লাফাল্লাও শুনিতেছি। আমাগো দেশে চ্যানেলের পর্দায়ওতো এইসব লইয়া রাইতে টকিং ফকিংও হইতেছেই। আবার পাবলিক দাদা দাদীরাতো দেশের বহুত এলাকায় নাকি এই নির্বাচন লইয়া ব্যলটের ফষ্টিনষ্টির কথাও চালাচালি করিতেছে। আমাগো কামাল দাদাতো এই নির্বাচন লইয়া মনে হইতেছে একটা কামের কাম করিয়াছে। দেশের বহুত বিজ্ঞ ব্যাক্তি ব্যাক্তিনীরাও কামাল দাদারে লইয়া নাকি বুক ফাঠে তো মুখ ফাঠেনা অবস্থা। কথা হইলো গিয়া জাতীর জন্য আপনার উন্নয়নে কেউ কু-নয়নে চাহিলেও তাগো দিকে তাকানোর সময়তো নাই। তয় কোন কোন কু-নয়ন দেখিয়া তাইনেগোর সবদিকে কুলুপ লাগাইতে ডিজিটালাইজড পদ্ধতি ব্যবহার করিতে এই অধম, বেকুবেরও পরামর্শ রইল।

মা’রে দেশের বহুত ফষ্টি নষ্টি খেলোয়াড় এখনো চাঙ্গা বলিয়াই মনে হইতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে ভাবিয়া কুল পাইতেছিনা। আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। তয় দেশের ফষ্টি নষ্টি করিতে যারা ওঁৎ পাতিয়া রহিয়াছে তাগোর বিষয়ে হজাগ থাকিতে হইবে। মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে থাকিবেন। মা’ জননীগো ভালা খারাপ যাই হোক দেশের পাবলিক আপনার উন্নয়ন আর মুখের দিকে তাকাইয়া নির্বাচনে ভোট মারিয়াছে, এইসব ভাবিয়া কাজ করিবেন, যাউ¹া হেই সব কথা।

মা’রে এইবারতো কেবিনেটে পুরাতন নতুন লইয়া পরিষদ সাজাইয়াছেন। পরিষদের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হইয়া যারা সাজিয়াছে কথা বার্তায় তাইনেরা যাহাতে সাজা না পায় তার জন্য রেড এলার্ট জারি করিতে হইবে। গেল কেবিনেটের কিছু মন্ত্রীতো ওলোট পালট কথাবার্তা কহিতেন। এসব শুনিয়া পাবলিক হাসিলেও আবার কেউ কেউ ফাঁফিয়াও যাইতো। এইবার যাহাতে না হয় তার খেয়াল রাখিবেন। দেশের পত্র পত্রিকায়তো পড়িতেছি বিরোধ কেউ কেউতো এখনো সপথ গ্রহন লইয়া দেশের মানুষের কাছে তালবাহানা দেখাইতেছে। তাইনেগোর দাবি দাওয়া সংসদে না বলিয়া এখন সভা সমাবেশে বলিয়া লাভ কি। কথা হইলো তাইনেরাতো আর আ-পথে যাইবার সুযোগ নাই সপথ লইতেই হইবে, না হইলে পাবলিকের নিকট জবাব কি। এই সব লইয়া আপনাকেও একটু হার্ট লাইনে যাইতে হইবে বলিয়া মনে হইতেছে।

মা’জননীগো কথায় বলে অর্থ-ই নাকি অনর্থের মূল। দেশের পুঁজিপতি শিল্পপতি আর ধনপতিরাতো জনগনের টাকা ব্যাংক হইতে ঋণ লইয়া খেলাপীতে পরিনত হইয়াছে। এই যেন গরীবের টাকায় মানুষকে দরিদ্র বানানোর চক্রান্ত। দেশের আড়াইলাখেরও অধিক খেলাপির পকেটে নাকি প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। মা’রে এইসবতো দেখী তাইজ্জব কান্ড। আমাগো দেশের নিন্ম ও মধ্যবিত্তরা ব্যাংক হইতে দু/চার লাখ টাকার ঋণ পায়না আর পাইলেও হিমশিম খাইতে হইতেছে অথচ পুঁজিপতি, শিল্পপতি আর ধনপতিরাতো তলে তলে কোটি কোটি টাকা লইয়া দিব্যি আরামে রহিয়াছে। মা’রে এইসব ঋণ খেলাপীদের লাগাম টানিতে বিলম্ব করিবেন না। জনগনের টাকা আদায় করেন। দেশের এইসব লুটেরা টাউট শ্রেণীর ঋণখেলাপীদের তালিকা ধরিয়া দশ বিশটারে হ্যন্ডকাপ পরাইয়া দেন। দেখিবেন ফর ফর করিয়াই নোট বাহির হইতে থাকিবে।

মা’রে দেশের মাদক কারবারীগোর ইয়াবাতো মহা মাদকে পরিণত হইয়াছে। ইয়াবা ব্যবসায় ফকির হইতে ধর্মীয় গুরু,পুলিশ,জেলারসহ সাংবাদিক দম্পতিও দেখি জড়াইয়াছে। পত্রপত্রিকায় যা দেখিতেছি গোটাদেশের কোন সীমানা বাদ নাই যে এই মাদক পাইতেছেনা আর পোলা-মাইয়া খাইতেছেনা। আপনিতো মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করিয়াছিলেন কিন্ত এরপরওতো মাদক কারবারীরা স্বদর্পে চলাচল করিতেছে। মাদক কারবারীরাতো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, মানবতার বিরুদ্ধে, সভ্যতার বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়াছে। দেশে এরই মইধ্যে বড় বড় চালান লইয়া যারা ধরা পড়িয়াছে এইসব মানবতাবিরোধীদের দুই চারটারে দ্রুত ঝুলাইয়াও দেন। মা’জননীগো পাশেরই দেশ ভারতের উরিশ্যার বাসিন্দা প্রকাশ রাও জীবনের ৬৭ বছর ধরিয়া চা বিক্রি করিয়া দিনের লাভের টাকায় তিল তিল করিয়া সমাজের পিছু পড়া সন্তানদের জন্য স্কুল বানাইয়াছেন, হাসপতালের রোগীদের সেবা দিয়া অসিয়াছেন। তাইনেরে ঐ দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভুষিত করিতে যাইতেছেন ভারত। এইসব দেখিলে বুকটা ভরিয়া যায়গো, এই মহামানবের জন্য গর্ব হয়গো ‘মা’। আর আমাগো দেশের বহুত হোমড়া চোমড়া জাতিকে ধ্বংস করিয়া অট্টালিকা বানায়। মা’রে পত্র-পত্রিকায় দেখিতেছি কক্সবাজারের কিছু কিছু এলাকায় রাইতের আঁধারে ইয়াবা প্রাসাদ নামে পরিচিত বাড়ি ঘর কে বা কাহারা ধ্বংস করিতেছে। মা’রে এই মাদক লইয়া জাতির ক্ষতি করিয়া যারা রাতারাতি অট্টালিকার মালিক বনিয়া গিয়াছে তাইনেগোর সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিয়া রাজস্ব বাড়াইতে সরকারি ইনকামের ব্যবস্থা করিতে এই পোড়াকোপাইল্লার আর্জি রইলো।

মা’জননীগো সড়কেতো প্রাণ ঝড়িতেই আছে, ঝড়িতেই আছে। অজ্ঞ চালকদের কারনে কি মানুষ বাসা বাড়ি হইতে বাহির হইতে পারিবেনা বলিয়া মনে হইতেছে। মঙ্গলবারেতো সাংবাদিক কন্যাসহ সড়কে ১১ জনের প্রাণ গিয়াছে। যান চালকরাতো বেপরোয়া ভাবেই চলিতেছে। সড়কে মানুষ হত্যার বেপরোয়া এইসব চালক আর যানের লাগাম টানিতে দ্রুত কড়া সিদ্ধান্ত লওনের দরকার বলিয়া এই অধম মনে করিতেছে। তয় খবরাখবর যা পাইতেছি দেশের রোড ট্রন্সপোর্ট অথরিটিতেতো কানা, ভোঁতা হইলেও নোট ছাড়িলে নাকি লাইসেন্স পকেটে চলিয়া যায়। এই বেপরোয়া ট্রন্সপোর্ট অথরিটিতে আমাগো কাদের দাদারে দিয়া কড়া অভিযান চালাইতে আদেশ দিবেন।

মা’গো এই মাস ভাষার মাস, আমার মায়ের কথা বলার মাস, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষার মাস। বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়াছেন, তাঁদের প্রতি “পাহাড়ের সময়” পরিবারের দাদা-দাদিদের রইলো শত শহস্র প্রণাম, বিনম্র শ্রদ্ধা সকল ভাষা শহীদদের জন্য রইলো অফুরন্ত ভালোবাস।

মা’রে আইজ আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। যাউ¹া পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে এইসব খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তিতে বসবাস করিতে পারিব। আইজ যা লেখিয়াছি তাহাতে কোন ভুলভ্রান্তি থাকিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম বেকুবরে ক্ষমা করিয়া দিবেন। প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম বেকুবের খোলা চিঠি লিখিব মা’রে একটু সময় হাতে লইয়া মন দিয়া পড়িবেন। দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, আপনিও ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রহন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯খ্রীঃ