[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-১৫

৪২

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ১৫ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব, অভাগা এই পাহাড়ী দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পাল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা ঘটনায় মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। মাদক ইয়াবার মতন ধর্ষন ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিয়াই যাইতেছে। গেল ১৮ সেপ্টেম্বরও বাঘাইছড়িতে দুজনকে পরপারে পাঠাইয়াছে। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ, বিয়োগ গুণই হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। দূর্বৃত্তরা পাহাড়কে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের কারন কি চিহ্নিত করেন।

মা’ জননীগো ক্যাসিনো কেলেংকারী লইয়াতো আমামীলীগের বহুত হোমড়া চোমড়া এখন দেশের ফাস্ট ক্লাশ জুয়াড়িতে সিলেক্টেড। এই কেলেংকারীতে বাংলাদেশ টক অব দা কান্ট্রিতে রূপ লইয়াছে। জুয়া খেলিতে রীতিমতন বিদেশ হইতেও নাকি এক্সপাট আনিয়াছে, তাইজ্জব কান্ড। বহুত গরীব সকাল বিকালের ভাতের অভাবে ভোগে আর আমামীলীগের নেতারা কোটি কোটি টাকা লইয়া জুয়াড় আসরে বসে। দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরা ছিঃছিঃ করিতেছে। রেলের চালক যদি অ্যাপোলোই হয় মন্ত্রীসহ বাকিরা কি ঘোড়ার ঘাস কাটিতেছে। মা’রে এইভাবে কি ভিশন বাস্তাবায়ন করা সম্ভব, দেশের মান ইজ্জত লইয়া টানাটানি করিতেছে, শাসন ব্যবস্থায় তর্জ্জনী প্রদর্শন করিতেছে, নেতৃত্বের ভাবমূর্তি নষ্ট করিতেছে তাইনেগোরে কোন দাড়ি নয়, কমা নয়, এক্কেবারে ফুলস্টপ করিতে কড়া ওয়ার্ডার করেন। দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরা শুদ্ধি অভিযানে খুশি। তয় অশুদ্ধ সবগুলাইনরে শুদ্ধ করিতে অভিযান চালাইয়া যাইবেন, এই পোড়াকপাইল্লার আরজিও মাথায় রাখিবেন।
মা’গো রোহিঙ্গ্যাগোরে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট প্রদান ঘটনাতো দেশদ্রোহিতার সমান। কমিশনের পিয়ন হইতে কেয়ার টেকারও এই আকামে কোটিপতি। যা মনে হইতেছে এই প্রশাসনে অজ্ঞ, বোবা, অন্ধ, অথর্বের সংখ্যা বেশী। নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপ চুরির ঘটনা কি সত্যি, নাকি জাতির সাথে মশকারি। কর্তাগোর প্রশাসনিক গোপনীয়তার ল্যাপটপ চুরি হইবে দেশের দাদু-দিগিগোরে কি ভুতে কিলাইয়াছে এইসব বিশ^াস করিবে। রোহিঙ্গ্যাগোরে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ঘটনার চুনোপূঁটি হইতে রাঘব বোয়াল ধরিয়া লং টার্ম কারাগারে ভরিয়া দেন। অবৈধভাবে উপার্জনে ব্যাংক ব্যালেন্সসহ সম্পদ জব্দ করেন। নির্বাচন কমিশনের প্রতিটি আফিসেই তল্লাসী করিলে দেখিবেন আকামের সবগুলাইন ফত ফত করিয়া বাহির হইয়া পড়িবে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারেও কেলেংকারী। ল্যাপটপ আর ইনজেকশন ক্রয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট। ১৪ টাকার ইনজেকশন নাকি ৭শতে ক্রয়, এইসব কি হইতেছে। দেশে দূর্নীতি লইয়া মাহামাইন্য হাইকোর্টতো কহিয়াছিলেন ইঁদুর ধরিতে না পারিলে বিড়াল পালনের দরকার কি। হাইকোর্টের এই বিড়াল মার্কতো বহুত প্রকার।

মা’জননীগো আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদুতো কহিয়াছিলেন দেশে জঙ্গী দমন হইয়াছে। এখন দেখি ফতুল্লার আস্তানা লইয়া দেশের দাদু-দিদিগোর পরান ধরফর ধরফর করিতেছে। দমনই যদি হইয়া পড়ে ফতুল্লায় উত্তান হয় কি ভাবে। মন্ত্রীগোর কথাবার্তায় ইজা রাখনের দরকার। তাইনেরা কি জানেন না সকল কাজ কামে একটা ইজা থাকে যাহাতে পরের যোগ বিয়োগ আর গুণের কাজে লাগে। এখন মন্ত্রী-এমপিরা দেখি ইজা না রাখিয়াই কাইজ কাম চালাইয়া যাইতেছে। মা’গো স্বাধীনতা বিরোধীরাতো ষড়যন্ত্র করিতে চাঁটের মতন লাগিয়াই রহিয়াছে। বহুল আলোচিত হেই জঙ্গির অস্তানার সাথেতো যাদের সম্পৃক্ততা দেশের মানুষকে ভাবাইয়া তুলিতেছে। অশান্তি সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করিতে দেশের আনাচে কানাচে গুরিন্দা ফিট করেন। ৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন করিতে হইলে সবদিক কড়া শাসন চালাইতেই হইবে। এই পাহাড়ী দাদুর পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’রে দেশের অভাগা দাদু-দিদিওরাতো ডেঙ্গুর দুর্যোগে মরিতেই আছে। মেয়র সাহেবগোর ক্রাশ, ব্রাশ, প্রোগ্রাম দেখিয়াছে, তাহাতেও ফল শুন্য। ডেঙ্গু মশা উল্টো বুক ফুলাইয়া মানুষের শরীলে হুল ঢুকাইতেছে আর হাসপাতালে পাটাইতেছে। মা’রে ক্রাশ-ব্রাশ বাদ দিয়া দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিগোর শরীলে ভেকসিন ঢুকাইয়া দেন যাহাতে কোন বিষধর প্রাণী কামড়াইলেও আর বিষে না ধরে। এই অধমের পরামর্শখানা একবার ভাবিয়া দেখিবেন। ঘোষ দাদু কহিলেন, মানুষের অত্যাচারে আবারো নালিশ লইয়া যশোর থানায় হাজির হইয়াছে হনুমান দল। থানার পুলিশ কর্তাদের চোখতো কপালে। যশোহরের কেশবপুরে পাঁচশতের অধিক হনুমান যুগ যুগ ধরিয়া বসবাস করিতেছে। মানুষের নানান অত্যাচার তাদেরও সহ্য হইতেছেনা। তাই নালিশ লইয়া দলসহ থানায়, কি আর করা থানার কর্তারা বুজিয়ে এইবার হইয়াছে রক্ষে। এই ঘটনাতো ‘টক অব দ্য হনুমান’স ইন যশোর থানা’। মা’রে মানুষের অত্যাচারে বনের পশুরাও জানান দিতাছে তাদের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করিতে। হনুমান’স এর এই কাঁকুতির ভালো উদ্যোগ লইবেন।

আমাগো চট্টগ্রাম মহানগরীর ফ্লাইওভারের চল্লিশ হাজার ইয়াবা কান্ডের শেষ ঠিকানা বাহির হইয়াছে। শেষমেষ কাভার্ট ভ্যানসহ চালক আটক, এইসব ইয়াবার ভারত গন্তব্যস্থানের কুলকিনারা পাইয়াছে। এই মহানগরীর আরেক চাঁদাবাজ টিনু দাদু নাকি সকল ভেজিটেবলের ইছামাছের মতন। নগরীতে বড়ভাই, গ্যাংক পার্টির ছোট ভাইরাও দেশের শাসন ব্যবস্থার কর্তাগোরে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করিয়া আকামের যেন শেষ নাই। কিশোর গ্যাংক, যুবক গ্যাংক নিয়া ত্রাস সৃষ্টি হইতেছে এইসব গ্যাংকতো পুলিশ, থানা, প্রশাসন কিচ্ছুই মানিতেছেনা, আজব ব্যাপার। মা’গো দুইচার টারে ধরিয়া ট্যাংক ভাঙ্গিয়া বাসা বাড়িতে পৌঁছাই দিতে আদেশ দেন। আকামের বড়ভাইসহ ইন্ধনদাতাদেরও ধরেন আর সিরিয়াল করিয়া বিচারের আওতায় নেন। এই অধমের পরামর্শ খানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো দেশে নারী ধর্ষন ঘটনাতো থামানোই যাইতেছে না। মনে হইতেছে পাল্লা দিয়াই চলিতেছে। আইজ দেশের এক কোনায় হইলে কাইল আরেক কোনায়। ধর্ষন ঘটনায় ইমাম, মোয়াজ্জেম, সাধু, কবিরাজ, পুলিশও জড়িত হইতেছে। পাবনায় গৃহবধুকে ধর্ষন করিয়া আবার থানায় বিবাহ ওসি এসআই’র এত্ত সাহস জাতিকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলিয়াছে। দেশের পুলিশের মান একবার আগাইলে দেখি পাঁচবার পিছনে নামে। জামালপুরের ডিসির খাঁস কামরার আকাম ফাঁস হইয়া দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরাতো ছিঃছিঃ করিয়াছিল। বহুত সাধু নামধারী এখন জানোয়ারে পরিনত হইয়াছে। এইভাবে চলিতে থাকিলে দেশে নয় বিশে^র দরবারেও বাংলাদেশের মান ধরিয়া রাখা মুশকিল হইয়া পড়িবে। মা’জননীগো ধর্ষন-হত্যা ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মইধ্যে বিচার শেষ করিতে ওয়ার্ডার করেন। মাদক ইয়াবার মতো ধর্ষণ ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। অই অধমের পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো নের্তৃত্ব চলিতেছে ভোগ বিলাশে। দখল দারিত্ব আর ভোগ বিলাশের বড় ভাই, গ্যাংক ভাই বাড়িয়াছে। বহুর্তে লুটপাটের মত্তে গাড়ি-বাড়ির মালিক হইয়াছে। দেশের প্রত্যেক জেলা উপজেলাতেও একই অবস্থা। আমাগো আউলা ঝাউলা আলী দাদুতো কহিলেন বহুত স্থানে স্বাধীনতা বিরোধীর শিঁকর বাকর ঢুকিয়াছে। মা’রে যারা নেতৃত্বে রহিয়াছে তাদের ভালো করিয়া টাইট দেন। সংগঠনে গোটা দেশের কমিটির ফর্দ তল্লাসী করেন, দেখিবেন হ¹লই পরিস্কার হইয়া যাইবে। নারী ধর্ষন, লুটপাটের নেতৃত্ব, জুয়া, ইয়াবা, ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর থাকিবেন। মন্ত্রীসভারে সক্রিয় করিতে নিষ্ক্রিয়দের দ্রুত অবসরে দেন। মন্ত্রী এমপিরা নিজ নিজ এলাকায় কি কি কাম করিতেছে তার হিসাব নেন। দলের উচ্চ নেতা হোক আর নিম্ন নেতা হোক যার মেধা ও প্রজ্ঞায় তেজষ্কিৃয়তা আছে মন্ত্রী পরিষদে তাঁগোরে সুযোগ দেন। বেতালে বেতালে আমলাগোর কাইজ কামওতো ভালো মনে হইতেছেনা। এই বেকুবের সন্দেহখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জইন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, ভালো থাকিবেন, সব দিকে নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২৯ সেপ্টেম্বর-২০১৯খ্রীঃ