পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-১৪

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ১৪ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব এই পাহাড়ী দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পাল্লায় পড়িয়াছে। ডেঙ্গু লইয়া এমন কোন হাসপাতাল নাই যে দাদু-দিদিরা গড়াগড়ি করিতেছেনা। দেশের যা চিত্র চলিতেছে তাতে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা ঘটনা ঘটিয়াই যাইতেছে। বার্তা দেখিতেছি দেশে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। ভুক্তভোগীরাতো আপনার দিকেই তাকাইয়া রহিয়াছে। দেশ গেরামের অভাগা দাদু-দিদিদের এইসব রাক্ষস খোক্ষসদের হইতে বাঁচাইতে সার্বক্ষনিক হজাগ থাকিবেন। মাদক ইয়াবার মতন ধর্ষন ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। এইসব লইয়া পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা প্রভাবিত-প্ররোচিত হইয়া নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁন্ধিয়া নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। পাহাড়ের অজ্ঞ বিজ্ঞ বহুতেতো কহিতেছে তিন পর্বতে দূর্বৃত্তগোর পাপের বোঝা নাকি বস্তায় বস্তায়। দূর্বৃত্তরা পাহাড়কে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে লইতে সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, গবেষণা করেন, কারন কি চিহ্নিত করেন।

মা’ জননীগো মাদার ডিস্টিক্ট শহরেতো পেশী শক্তি, অর্থ শক্তি, ভক্ত শক্তি দেখাইয়া আঞ্জুুয়ারা বেগমকে পোলাপাইন লইয়া ঘর হইতে বাহির করিয়া দিয়াছে। শাহজাহানের এই আকামেতো শহরের দাদু-দিদিরা ছিঃছিঃ করিতেছে। আঞ্জুুয়ারা এখন রাস্তায় রাস্তা ঘুরিয়া আমাগো মন্ত্রী, ডিসি, এসপি’র সহযোগীতা চাহিয়াছে। বিষয় খানা একবার তলাইয়া দেখিতে আদেশ করিবেন।

মা’রে দেশের কুটি কুটি অভাগা দাদু-দিদিওরাতো ডেঙ্গুর দুর্যোগ লইয়া রাইত কাটাইতেছে। আশা দিদিতো কহিলেন গোটা দেশে ডেঙ্গু রোগী নাকি পঁছাত্তর হাজার ছাড়িয়াছে। তয় আমাগো মেয়র সাহেবরাতো কহিয়াছিলেন খুবই কম সময়ের মইধ্যে ডেঙ্গু মশা মরিবে। এখন দেখিতেছি মানুষই মরিতেছে। দেশের মানুষ কত্তো ক্রাশ, ব্রাশ, প্রোগ্রাম দেখিয়াছে, তাহাতেও কোন কাম হইতেছেনা। ডেঙ্গু মশা উল্টো বুক ফুলাইয়া মানুষের শরীলে হুল ঢুকাইতেছে। মারে ক্রাশ-ব্রাশ বাদ দিয়া দেশের কুটি কুটি দাদু দিদিগোর শরীলে ভেকসিন ঢুকাইয়া দেন যাহাতে কোন বিষধর প্রাণী কামড়াইলেও আর বিষে না ধরে। এই অধমের পরামর্শখানা একবার ভাবিয়া দেখিবেন।

দেশের বহুল আলোচিত রিফাত হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীর সংখ্যায় নতুন মোড় লইতেছে। বুবুল দাদুতো কহিলেন, আমাগো শম্ভু এমপি’র পোলা সুনাম এর দিকে আঙ্গুল উঠিয়াছে। রিফাতের পরিবারতো এই হত্যা মামলায় সুনাম দেবনাথ কেন নাই প্রশ্ন তুলিয়াছে। যা মনে হইতেছে লোমহর্ষক রিফাত হত্যার পিছনে বহুত গুটি চলিয়াছে। সুনামও কোন কূনামে জড়াইয়াছে কিনা আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদু’রও খোঁজ লওনের দরকার। রিফাত হত্যাকান্ডে দেশে আপনার শাসন ব্যবস্থারও উপর হত্যাকারীরা বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করিয়া বিশে^র দরবারে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করিয়াছে। মা’রে যারা মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়াছে তাদের কোন দাঁড়ি নয়, কমা নয়, এক্কেবারে ফুল স্টপ বসাইতে আপনার মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, এসপি, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।

আমাগো চট্টগ্রাম মহানগরীতেতো চল্লিশ হাজার ইয়াবা কান্ডের কোন কুলকিনারা নাই। ২৯ আগষ্ট রাইতে দেওয়ান হাট ফ্লাইওভার হইতে চল্লিশ হাজার ইয়াবা নিচে নিক্ষেপ করিয়া জড়িতরা পলাইলেও তারা এখনো অধরা, এইসবের হেতু কি। মাহনগরীতে অপরাধতো টানা চলিতেছে কিশোর গ্যাংক, যুবক গ্যাংক নিয়া ত্রাস সৃষ্টি হইতেছে এইসব গ্যাংকতো পুলিশ, থানা, প্রশাসন কিচ্ছুই মানিতেছেনা, আজব ব্যাপার। দুইচার টারে ধরিয়া ট্যাংক ভাঙ্গিয়া বাসা বাড়িতে পৌঁছাই দিতে আদেশ দেন। আকামের আরো বহুত বড়ভাইও রহিয়াছে তাঁগোর ইন্ধনদাতাদেরও ধরেন আর সিরিয়াল করিয়া বিচারের আওতায় নেন। এই অধমের পরামর্শ খানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’রে দেশের ষোল কুটি দাদু-দিদির এখন বিষ ফোঁড়া হইলো রোহিঙ্গা। মানবতা দেখাইয়া এখন উল্টো মাইরও খাইতেছে। এই পর্যন্ত রোহিঙ্গা যুবকের হাতে দেশের বহুত যুবক খুন হইয়াছে। এরই মইধ্যে আমাগো পুলিশ, গুরিন্দা বাহিনীর সদস্যরাতো হস্তচালিত চরম অস্ত্র উদ্ধার করিয়াছে। যাইবার কালে তারাতো দেখি টেস দিতেছে। টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট, ভোটার আইডি বানাইতেছে। দেশের বহুত এনজিও, পেন্টজিওরা নাকি রোহিঙ্গারা না যাইতে ক্লিক মারিতেছে, উস্কানি ছড়াইতেছে। রোহিঙ্গা নেতাও বুল্লা নাকি হোয়াইট হাইজে গিয়াছে ? যেই ব্যাটা লেংকুট পড়িয়া দেশে আসিয়াছে হেই ব্যাটা কিভাবে আমেরিকা গিয়াছে, কারা এর পিছনে কাম চালাইতেছে তার তথ্য তালাস বাহির করেন। মা’রে দেশের মানুষ বহুত দয়া দেখাইয়াছে, উস্কানীদাতারা যে কোন মুহুর্তে তাঁগোরে লইয়া দেশের পরিস্থি চরমে ঠেলিয়া দিবে বলিয়া মনে হইতেছে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা লইবেন, এই অধমের আরজিখান ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো দেশে নারী ধর্ষন ঘটনা পাল্লা দিয়াই চলিতেছে। আইজ দেশের এক কোনায় হইলে কাইল আরেক কোনায়। নারী-শিশুরা যেন কোথাও নিরাপদ নাই। ধর্ষন ঘটনায় ইমাম, মোয়াজ্জেম, সাধু, কবিরাজও জড়িত হইতেছে। পাবনায় গৃহবধুকে ধর্ষন করিয়া আবার থানায় বিবাহ ওসি এসআই এত্ত সাহস কোথা হইতে পাইয়াছে। দেশের পুলিশের মান একবার আগাইলে পাঁচবার পিছনে নামে। জামালপুরের ডিসিও জড়াইয়াছে। খাঁস কামরার আকাম ফাঁস হইয়া দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরাতো ছিঃছিঃ করিতেছে। দেশের বহুত সাধু নামধারী এখন জানোয়ারে পরিনত হইয়াছে। এইভাবে চলিতে থাকিলে দেশে নয় বিশে^র দরবারেও বাংলাদেশের মান ধরিয়া রাখা মুশকিল হইয়া পড়িবে। মা’জননীগো ধর্ষন-হত্যা ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মইধ্যে বিচার শেষ করিতে ওয়ার্ডার করেন। মাদক ইয়াবার মতো ধর্ষণ ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। অই অধমের পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

আমামীলীগের তৃণমূল পর্যন্ত সম্মেলন সুষ্টু হইবে বলিয়া মনে হইতেছেনা। ইতিমধ্যেই ইউনিয়ন পর্যায়েও অর্ন্তকোন্দলে মারামারি ধরাধরি হইয়া সম্মেলন পন্ডের সংবাদে যোগ হইতেছে। পাহাড়-সমতলে আমামীলীগের নেতৃত্বের একই অবস্থা। বলিষ্ট নেতৃত্ব ঠিক করিতে দলে ত্যাগীদেরও সুযোগ থাকনের দরকার। আমীন দাদুতো কহিলেন পাহাড়ের মাদার ডিস্ট্রিক্টে নাকি বহুত আগেই আমামীলীগের সমর্থক পার্সেন্টজ কমিয়াছে। হাম বড়, হাম বড় করিতে যাইয়া চেয়ার ধরিয়া রাখিতে ভবিষ্যতে ঘাম ঝড়াইতে হইবে। পাহাড় পর্বতেওতো পুরাতনদের বিরুদ্ধে হেই সিইসি আইজ্যা তুই এখন বাইত যা এই অবস্থা বিরাজ করিতেছে।

আপনিতো কহিলেন, মন্ত্রীসভারে আরো সক্রিয় করিতে নিষ্ক্রিয়দের চেয়ার হইতে উঠাইয়া দিবেন। অযোগ্যদের দ্রুত অবসরে দেন। মন্ত্রী এমপিরা নিজ নিজ এলাকায় কি কি কাম করিতেছে তার হিসাব নেন। দলের উচ্চ নেতা হোক আর নিম্ন নেতা হোক যার মেধা ও প্রজ্ঞায় তেজষ্কিৃয়তা আছে মন্ত্রী পরিষদে তাঁগোরে সুযোগ দেন। বেতালে বেতালে আমলাগোর কাইজ কামওতো ভালো মনে হইতেছেনা। নারী ধর্ষন লইয়া পুলিশ ও ডিসি’র আকামতো পিছনে বহুত কূকামের ইসারা বলিয়া মনে হইতেছে। এইভাবে চলিতে থাকিলে আমামীলীগের জোয়ারতো ভাটায় পরিনত হইবে। অধমের এই ফরমায়েশ একবার ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো ছাত্রলীগের নের্তৃত্বেতো দেশের বিজ্ঞ দাদু দিদিরা মহা চিন্তায় পড়িয়াছে। তাইনেগোর নের্তৃত্ব চলিতেছে ভোগ বিলাশে। তাইনেরা এখন দখল দারিত্ব আর ভোগ বিলাশের বড় ভাই, গ্যাংক ভাই হইয়া পড়িয়াছে। বহুর্তে লুটপাটের মত্তে থাকিয়া গাড়ি-বাড়ির মালিক হইয়াছে। দলের মহা ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ আমামীলীগের সুনামের ঝুড়ি ফুটো করিতেছে। দেশের প্রত্যেক জেলা উপজেলাতেও একই অবস্থা। আরী দাদুতো কহিলেন বহুত স্থানে স্বাধীনতা বিরোধীর শিঁকর বাকর ঢুকিয়াছে। এইভাবে চলিলে ছাত্রলীগ সংগঠনে উস্কানী দাতাদের পাল্লা তলে তলে ভারি হইয়া যাইবে। মা’রে দলের মহা ছাত্র সংগঠনকে ভালো করিয়া টাইট দেন। গোটা দেশের কমিটির ফর্দ তল্লাসী করেন, দেখিবেন হ¹লই পরিস্কার হইয়া যাইবে। এই বেকুবের পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জইন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৫ সেপ্টেম্বর-২০১৯খ্রীঃ