[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-১১

২৭

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ১১ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব এই পাহাড়ী দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের মানুষতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। গোটা দেশের যা চিত্র তাতে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নারী-নির্যাতন ধর্ষন-হত্যা ঘটনা ঘটিয়াই যাইতেছে। পত্রপত্রিকায় যা বার্তা দেখিতেছি দেশে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। ভুক্তভোগীরাতো আপনার দিকেই তাকাইয়া রহিয়াছে। দেশ গেরামের অভাগা মানুষগুলাইনরে রাক্ষস খোক্ষসদের হইতে বাঁচাইতে সার্বক্ষনিক হজাগ থাকিবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। এইসব লইয়া পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা প্রভাবিত-প্ররোচিত হইয়া নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁন্ধিয়া নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগমই হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। এইসব লইয়া পাহাড়ের অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই ভাবিয়া নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। তিন পর্বতেতো দূর্বৃত্তগোর পাপের বোঝা বস্তায় বস্তায় হইয়া পড়িয়াছে। পাহাড়ের পেড়াকপাইল্লাগোর শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া অজ্ঞ বিজ্ঞরা দাদু-দিদিরা খালি আপনার দরবারে মিনতি জানাইতেছে। পাহাড়েকে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে আগাইবেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, গবেষণা করেন, সময় দেন, কারন কি চিহ্নত করেন।

মা’ জননীগো বান্দরবনে আবারো আমামীলীগের ইউনিয়ন কমিটির এক নেতাকে দূর্বৃত্তরা গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে। এই পর্যন্ত বেশ ক’জন নেতা হত্যার শিকার হইয়াছে। ঐ শান্ত পাহাড় লইয়া কারা নতুন করিয়া অশান্ত করিবার পাঁয়তারা করিতেছে হেইখানের প্রশাসন আর নেতাগোরে লইয়া বৈঠক করেন। আমাগো মন্ত্রী বাহাদুর দাদুর সহিত সম্প্রতি সাইক্ষাত করিতে গিয়া দেখিলাম তাইনের চোখেমুখে যেন দুঃখের-চিন্তার ছাপ। হেইখানে বহুতেতো কহিলেন ঐ মন্ত্রী দাদু নাকি ধার্মিক তয় তাইনের জেলার হ¹লই মানবিক কিন্তু এই জেলার পিছনে হঠাৎ করিয়া কারা অশান্তির কলকাঠি নাড়াইতেছে ভালো করিয়া বার্তা লইবেন। মা’গো নের্তৃত্ব অন্যের দ্ধারা প্রভাবিত হইয়া পড়িলে কর্তৃত্বে মরিচিকা ধরিতে সময় লাগেনা। বিষয়টি মাথায় রাখিতে আপনার নেতা নেত্রীগোরে ওয়ার্ডার করিবেন।

তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হইয়াছে বলিয়া আমাগো নেতরা যেইভাবে মাইক ফাঠাইতেছে তাহাতেতো বহুতখানে আমাগো দাদু-দিরিা মুচকিও হাসিতেছে। ফটর ফটর করিয়া উন্নয়নের লেকচার শুনিতে শুনিতে কিছু দিন আগে আমিও মাদার ডিস্ট্রিক্টের উন্নয়ন কাজ গুনিতে আর তুনিতে দুরবীণ বসাইয়াছিলাম। তয় মা’গো উন্নয়নের লেকচারে লেকচারে হ¹লই রাইত দিন পার করিলেও পাহাড়ের ঢালে, থলে, নালায়, চিপায় দেখিতেছি তলে তলে বহুত ফ্যাকচার হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে। আমামীলীগের নের্তৃত্বের ভান্ডে আমিও দূরবীন বসাইয়া যা দেখিতেছি, উপলব্ধী করিতেছি, শুনিতেছি তাহাতে ইচ্ছে হইতেছে নিজের কপাল নিজেই ফাটাইতে। আমামীলীগের চান্দি গরম নেতাকর্মীর ভারি দলতো তলে তলে তুষের আগুনে জ¦লিতেছে। তাইনেরা আরো কহিলেন দলে নাকি হেই আল বদর রাজাকারও ডুকিয়া পড়িয়াছে। মা’রে আপনিও যদি এই পোড়াকপাইল্লার মতন পাহাড়ে দূরবীণ বসাইয়া দেন দেখিবেন এই পাহাড়ী দাদুার ভাঙ্গা দূরবীনের বয়ানও দেশের ফাস্ট ক্লাশ পুরিস্কার অর্জন করিবে। আমামীলীগের বহুত দাদু-দিদিওতো তাই কহিতেছেন, বিষয়টি চিন্তায় রাখিবেন।

এইবার তিন জেলা পরিষদে মনোনীতদের মইধ্যে মানবতা আর উন্নয়নে যারা ঝাঁপ দেয় এমন নেতৃত্ব বসাইবেন। না হয় নির্বাচন দিবেন। বিষয় খানা তিনবার ভাবিনে। মা’রে পাহাড়েও সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতির কারনে দেশের মানুষতো রক্তচোষা জোঁকের দলেই বন্ধী। তয় নাটের গুরুর দল নরম-চরম ভক্তের অধিকারী হইয়া মনে হইতেছে হাবাবাতাসের আফিসের মতন তীর বসাইয়া এই কাম চালাইয়াই যাইতেছে। পাহাড় উন্নয়নের হ¹ল প্রকল্পের কি অবস্থা খবর লইবেন। দলের নিউ কামার আর ঠকবাজ নেতাগোর খপ্পরে পড়িয়া নাকি উন্নয়নের অর্থ নামে বেনামে তাইনেগোর পকেটেই মজুদ হইতেছে। বহুত প্রকল্পতো ফর্দে কিন্তু কামের কাম হইলো ললিপপের মতন খালি চুষিয়াই খাইয়াছে। এইসব বিষয আশয়গুলাইন তদারক করিবেন।

দেশের পরিবেশ পরিস্থিত যা দেখিতেছি তাহাতেতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ লাইয়া থাকিতেছে কুটি কুটি মানুষ। পরম করুনাময় উপর ওয়ালওতো এত্তোদিন গরম ঢালিতে ঢালিতে চরমভাবে দেশের দাদু-দিদিগোর শরীলে ফোসকা ফুটাইছে এখন পানিতে ডুবাইতেছে। মা’রে দেশে যে যার ইচ্ছে মতনই চলিতেছে। খাল, বিল, নদী নালা দখল করিয়া খালি রাস্তাঘাট আর ভবন বানাইয়াছে। আবার বহুতে উৎপাদনের জমি দখল আর ক্রয় করিয়া খালি লাক্সারী ভবন করিতেছে। যদি পানিতেই ডুবিয়া মরিতে হয় তয় ভবনের দরকার কি। তিন পাহাড়ের অবস্থাও হেই। এত্ত বড় বড় পাহাড়ের মানুষও যদি পানিতে ডুবে আমাগো সমতলের অবস্থাতো পস্ট। বানবাসি মানুষ ত্রানের লাগি বানের পানিতে দাঁড়াইয়াই দুই হাত তুলিতেছে। দেশের এখন যেই চিত্র তাহাতে পাবলিক দাদু দিদিগোর চিন্তায় আমার পিত্তডাও ফাটিয়া যাইবার উপক্রম। মা’রে দেশের খাল, বিল, নদী নালা দ্রুত উদ্ধার করিতে আরো কঠোর হন। প্রত্যেক জেলার ডিসি, এসপিদের কড়া বার্তা পাঠাইয়া দেন। আবাসিক প্রকল্পের নামে খাদ্য উৎপাদনের জমি ক্রয় বিক্রয় আর লিজ বন্ধ করিয়া দেন। এরই মইধ্যে উৎপাদনের জমিতে যাহারা আবাসিক প্রকল্পের কাজ চালাইতেছে যাঁচাই করিয়া এইসবও বন্ধ করনের দরকার। এখনতো বানে মারিতেছে ভবিষ্যতে দেখিবেন খাদ্য অভাবেও মানুষ মরিবে। বিষয়টি সময় থাকিতেই মাতায় রাখিবেন।

আমাগো চট্টগ্রাম নগরীর অবস্থাতো বেহালে, শুধু লো-তে নয় হাইওয়েতেও নাকি জলাবদ্ধতা। খাল, নালা, নর্দমা উদ্ধারেও গরিমসি। হাসান দাদু কহিলেন, শহর ডুবিয়াছে ঠিক তয় খালে নাকি পানি নাই, তাইজ্জব কান্ড কারখানা। আজব কর্মকান্ডে দেশে যেন মনুষ্য সৃষ্ট গজব পড়িয়াছে। গোটাদেশে আজব খবরে ছেলে ধরা সন্দেহ করিয়া পাবলিকতো পিটাইয়া মানুষ মারিতেছে। এই আজব কান্ড ঘটানোর দায়ে আমাগো র‌্যাব বাহিনীতো চট্টগ্রামের আরমানকে আটক করিয়াছে। আরমানের এই কু-কামে আর কারা কারা জড়িত বাহির করিতে আইজপি দাদুরে ওয়ার্ডার করেন। হেইখানের নয়ন দাদুতো কহিলেন পুরনো ভঙ্গিতেই নাকি সংগঠিত হইতেছে জঙ্গী। দেশে আকাম চালাইতে মিয়ানমারের অত্যাচারে নিগৃত রোহিঙ্গ্যাগোরেও নাকি এইসব কামে ভিড়াইতেছে। চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদায়তো বোমা বানাইতে গিয়া ডাকাইতের পোলা আব্দুল হাকিম এখন আশঙ্কাজনক। আমাগো আইজিপি দাদুওতো এই বিষয়ে পুলিশ বাহিনীগোরে হজাগ থাকিতে কহিলেন। নতুন ভঙ্গিতে জঙ্গি, হজাগ থাকিতে দেশের আনাচে কানাচে গুরিন্দা নজর বাড়াইতে দ্রুত পদক্ষেপ লইবেন।

দূর্বৃত্তরা চাঁদপুরেতো শিক্ষিকা জয়ন্তিকে জবাই করিয়াছে। দেশে গুপ্তহত্যাকারিরা অধরা থাকিতেছে। দেশে মানবতাবিরোধী কামে জড়িত যে-ই হোক দ্রুত আইনেই বিচার করুন। প্রিয়া দিদি আমাগো প্রেসিডেন্ট দাদুর কাছে না যাইয়া আমেরিকার দাদুর কাছে যাওনের কারনটা কি। দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নীপিড়ণ হত্যার শিকার হইতেছে ঠিক কিন্তু অন্যের কাছে বিচার চাহিয়া সমাধানতো প্রশ্ন বিদ্ধ। তাইনের এই কাম কি নেহাত স্বেচ্ছায় না অন্যের প্ররোচনায়। তদন্ত করিয়া দেখিবেন। দেশে নির্যাতন, খুন, রাহাজানি, ধর্ষন, গুজবে খুন লইয়া মানুষতো এইসব কি হইতেছে প্রশ্ন তুলিতেছে। অপকর্ম লইয়া দেশের মানুষ অস্থিরের মইধ্যে দিন যাপন করিতেছে। মা’গো এইসব প্রতিরোধ করিতে দেশের আনাচে কানাচে দলের সৎ কর্মী বাহিনী নামাইয়া দেন।

মা’জননীগো মহামাইন্য হাইকোর্টতো ভেজালের বিরুদ্ধে বহুত আগেই যুদ্ধ চাহিলেন। আমাগো এক গবেষক দাদুতো দুধে ডিটারজেনও পাইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করিয়াছেন। বিএসটিআই এর লাইসেন্স প্রাপ্ত ১৪ কুম্পানীর ১১টি পাস্তুরিত দুধে নাকি প্রয়োজনের চাইতে সিসা বেশী। খাদ্য উৎপাদনকারি এইসব প্রতিষ্ঠানতো স্লোমোশানে প্রজম্মকে ধ্বংস করিতেছে। এত ভেজাল চলিলেও দেশের নিরাপদ খাদ্য আধিদপ্তর, বিএসটিআই এর কর্তারা মাসে মাসে বেতন লইয়া খালি লেফ-রাইট করিয়াছে। হাইকোর্টতো বিএসটিআইকে মানুষের জীবন লইয়া ছিনিমিনি খেলনের কে অধিকার দিয়াছে প্রশ্নও তুলিয়াছেন। ভেজাল প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করিতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাজারে যৌথ বাহিনী ছাড়িয়া দেন। খাদ্যে ভেজাল জড়িতদের সাথে ভেজাল কর্মকর্তা কর্মচারীগোরেও দ্রুত বিচারের আওতায় নেন দুই চারটারে ফাঁসিতে ঝুলাইয়া দেন। জাতি বাঁচাইতে হাইকোর্টের আদেশ গুনাক্ষরে পালন করেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমার পরও যদি জামালপুরের বৃদ্ধ আজমত আলীকে দশ বছর জেল খাটতে হয় তাহা হইলে ক্ষমা করনের কি দরকার আছিল। হাই কোর্টেও আপিল বিভাগের নির্দেশে তাইনে এখন উন্মুক্ত আকাশে মুক্ত। এই দাদুতো অপমানে ক্ষোভে দেশের মানুষের কাছে বিচার ছাড়িয়া দিলেন।

শষ্যে ভুত থাকনের কারনে দেশে দূর্নীতির লাগাম টানা মুশকিল হইতেছে। দেশের ব্যাংক ওয়ালারাতো মনে হইতেছে আলদ্বীনের চেরাগ পাইয়াছে। সুদ খাইতে খাইতে, পাবলিক চুষিতে চুষিতে তাইনেগোর যেন পেট ভরে না। খালি খাই আর খাই, এ যেন রক্ষচোষা ব্যাংক ভর্তি মহা জোঁকের দল। নিজের টাকা রাখিয়াও টেক্সও কাটে, ব্যাংক স্বচ্ছল সনদ লইতে ৬শত টাকা গুনিতেও হইতেছে। এইভাবে চলিলে পাবলিককে কি ভুতে কিলাইছে ব্যাংকে টাকা রাখনের। যা দেখিতেছি সঞ্চয়পত্র হইতেও পাবলিক মুখ ফিরাইয়া নিবে। মা’রে নিজের টাকা রাখিয়া যদি অত্যাচারের শিকার হয় তয় ব্যাংকে যাওনের দরকার কি। বিষয়টি ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২৮ জুলাই-২০১৯খ্রীঃ