[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-০৯

৩২

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৯ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব এই দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁন্ধিয়া নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত হইয়া যাইতেছে। এইসব লইয়া পাহাড়ের অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই ভাবিয়া নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। তিন পর্বতেতো পাপের বোঝা বস্তায় বস্তায়, পাহাড়ের পেড়াকপাইল্লাগোর শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া পাহাড়ের অজ্ঞ বিজ্ঞরা খালি আপনার দরবারে মিনতি জানাইতেছে। উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তার দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’জননীগো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে ব্যবস্থা লইতে আগাইবেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, গবেষণা করেন, সময় দেন, কারন কি চিহ্নত করেন।

মা’ জননীগো তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হইয়াছে বলিয়া মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যানরা যেইভাবে মাইক ফাটাইতেছে তাহাতেতো পাবলিক মুচকিও হাসিতেছে। স্পিকার হাতে পাইলেই খালি তৈল মর্দন করিতে ওস্তাদ। ফটর ফটর করিয়া উন্নয়নের লেকচার শুনিতে শুনিতে আমিও উন্নয়ন কাজ গুনিতে আর তুনিতে দুরবীণ বসাইয়াছি। তয় মা’গো উন্নয়নের লেকচারে লেকচারে পাহাড়ের ঢালে, থলে, নালায়, চিপায় দেখিতেছি তলে তলে বহুত ফ্যাকচার হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে। আমামীলীগের জেলা নের্তৃত্বের ভান্ডে আমিও দূরবীন বসাইয়া যা দেখিতেছি, উপলব্ধী করিতেছি, শুনিতেছি তাহাতে ইচ্ছে হইতেছে নিজের কপাল নিজেই ফাটাইতে। তয় আমামীলীগের চান্দি গরম নেতাকর্মীর ভারি দলতো তলে তলে তুষের আগুনে জ¦লিতেছে। দলের নিউ কামার আর ঠকবাজ নেতাগোর খপ্পরে পড়িয়া নাকি উন্নয়নের অর্থ নামে বেনামে তাইনেগোর পকেটেই মজুদ হইতেছে। মা’রে আপনিও যদি এই পোড়াকপাইল্লার মতন পাহাড়ে দূরবীণ বসাইয়া দেন দেখিবেন এই পাহাড়ী দাদুার ভাঙ্গা দূরবীনের সত্য বয়ান দেশের ফাস্ট ক্লাশ পুরিস্কার অর্জন করিবে মনে হএিতছে। কামাল দাদুওতো তাই কহিলেন, বিষয়টি মাথায় রাখিবেন।

তিন পাহাড়ের জেলা পরিষদ নের্তৃত্বতো চলিতেছে নাকি মেধাহীন অবস্থায়। আমামীলীগের চান্দি গরম বহুত নেতা কর্মীরা কহিলেন দলে শ্রম দিয়া, ভোট দিয়াও যারা ঠকিয়াছে এইসব মনোনীত পরিষদ বিদায় হইলে নাকি তাইনেগো কপালে দুঃখ আছে। এস দাদু ঠাট্টা করিয়া কহিলেন তাইনেরা যেইভাবে নিজেগোর ভান্ড মজুদ করিয়াছে তাতে আর উপোস থাকিতে হইবেনা, এইতো দেখি তাইজ্জব আচরন। তয় নেতাগোছের বহুতেতো ক্ষোভ করিয়া কহিলেন তাইনেরা পরিষদ ত্যাগ করিলেই বাট্টা গুনিয়া লইতে প্রস্তুত হইতেছে। মা’জননীগো পাহাড়ের আমামীলীগের নের্তৃত্বের চাবি একটু উল্টো মোছর মারিলেই ছোঁ ছোঁ করিয়া হ¹লই পস্ট দেখিতে পাইবেন। যাউ¹া হেইসব কথা, দেব দাদু কহিলেন, মনিকাগোর ঘরের চালা ফুটো থাকে কিন্তু তাইনেগোর উন্নয়ন হয়না অথচ ফুটো চালের তলে থাকিয়া মনিকাগোর মতন মাইয়া পোলারা দেশের সম্মান বাড়ায়। কেউ কি জানিতো ফুটবলে মনিকা ম্যাজিকেল হইবে। বিমল দাদু কহিলেন, আমাগো জেলার রামহরিপাড়ার চোট্ট পোলারা নিজের টাকা দিয়া ফুটবল টিম করে প্রতিযোগীতায় নামে অথচ তাঁগোরে দুই পয়সা দেওনের মানুষ নাই কিন্তু পাহাড়ের উন্নয়নের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা খসিয়া পড়িয়া যায়। তাইনে কহিলেন, বিশে^র দরবারে খেলাধুলায় সুনাম অর্জন করিতে পাহাড়ের তলে, ঢালে, নালে, বহুত মেধাবী পড়িয়া রহিয়াছে শুধু দরকার কোলে পিটে করিয়া মানুষ করনের। বিষযটি ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’রে পাহাড়ের অসহায় দাদু দিদিগোরতো আমও যাইতেছে ছালাও যাইতেছে। সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতির কারনে মানুষতো সত্যি রক্তচোষা জোঁকের দলেই বন্ধী। তয় নাটের গুরুর দল নরম-চরম ভক্তের অধিকারী হইয়া মনে হইতেছে হাবাবাতাসের আফিসের মতন তীর বসাইয়া এই কাম চালাইয়া যাইতেছে। হাঠৎ করিয়া বান্দরবানের পাহাড়ের আমমীলীগের কয়েক নেতাসহ বেশ ক’জনকেতো সন্ত্রাসীরা পরপারে পাঠাইয়াছে। পাহাড়ের অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে ললিপপের মতন খালি চুষিয়াই যাইতেছে। পাহাড় উন্নয়নের ফর্দে কোটি কোটি টাকার শুভংকরের ফাঁকি। উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ লইয়া যা হাবা-বাতাস গন্ধ-সন্ধ পাইতেছি তাতে গত চাইর বছরে কুটি কুটি টাকা লোপাট হইয়াছে। দয়া করিয়া উন্নয়ন বোর্ড আর পরিষদগুলাইন লইয়া একটু ভাবিবেন, জনগনের উন্নয়নে ভালো নের্তৃত্ব বসাইয়া দিবেন। শীল দাদু কহিলেন জেলা পরিষদগুলাইনের মেয়াদতো শেষের পথে, তয় মা’গো এইবার সব দিক ভাবিয়া সঠিক নেতা দেন উন্নয়নে আগাইতে কাজ করেন, দেখিবেন পাহাড়ের মানুষ ভোটের সময় বাক্স ভরাট করিয়া দিবে।
মা’গো শুনিলাম দীপক দাদুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারমন করিয়াছেন। তয় বোর্ডের উপরওয়ালারাতো নাকি তাইনেরে চান্স দিতাছেনা। বোর্ডের এক ছোট্ট দাদু কহিলেন, বর্তমান উচ্চ কর্তারা প্রধানমন্ত্রীর আদেশও অমান্য করিতেছে। এই দাদু আরো কহিলেন সরকারি আদেশ অমান্য করিয়া হেইখানে এক কর্তাতো দুই তিন চার পদও লইয়া বসিয়াছে। বিদায়ী ভাইস চেয়ারমন ঘোষ দাদু’র জন উন্নয়ন এর হ¹ল কর্মকান্ড তদারক করিতে বোর্ডের বহুতেতো পরামর্শ করিতেছেন। তাইনেরাও উন্নয়নে আপনার দেয়া হাজার কুটি টাকার হিসাব লইতে আরজি করিতেছেন। বোর্ডের হ¹ল উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে নিজের মতন করিয়া পরিদর্শক দেন, যাঁচাই করেন। আমাগো আমীন দাদু কহিলেন পাহাড়ে নেতাগোর কারনে আমামীলীগে আস্থার তলা ফুটো হইতেছে। বোর্ডে নব দাদুরে অবসরে দিয়া মাদার ডিস্ট্রিক্ট হইতে আমামীলীগের জনবান্ধব নেতাকে নিয়োগ দেন। ঠিকমতন জনসেবা আর আস্থা থাকিলে দেখিবেন মাদার ডিস্ট্রিকে দলের জোয়ার হইবে। বোর্ড লইয়া যেই তালিমালি চলিতেছে এইসব ঠিক করিতে বাহাদুর দাদুরে ওয়ার্ডার করেন, এত তালিমালির কারন কি কুইশান করেন।
মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের মানুষতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে বলিয়াই মনে হইতেছে। গোটা দেশের যা চিত্র তাতে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নারী-নির্যাতন ধর্ষন ঘটনা ঘটিয়াই যাইতেছে। আমাগো পাহাড় পর্বতেও একই অবস্থা। খাগড়াছড়ির পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মইধ্যে এইপর্যন্ত বেশ কিছু নারী শিশু ধর্ষনের শিকার হইয়াছে। পত্রপত্রিকায় যা বার্তা দেখিতেছি দেশে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। নুসরাত হত্যাসহ নারী ধর্ষন ও হত্যার ঘটনায় দোষীগোর সাজা দ্রুত করিতে বিচার বিভাগকে তাড়া দিবেন। ভুক্তভোগীরাতো আপনার দিকেই তাকাইয়া রহিয়াছে।

চট্টগ্রাম নগরীর অবস্থাতো বেহালে বেহালেই চলিতেছে। শুধু লো-তে নয় হাইওয়েতেও নাকি জলাবদ্ধতা, তাইজ্জব কান্ড কারখানা। খাল, নালা, নর্দমা উদ্ধারেও গরিমসি। এ যেন সব খাই খাই, পাই পাই অবস্থা। সৈকত দাদু কহিলেন, পাবলিক যেদিকেই যায় সেদিকেরই তেরটা বাজায়। খাল নালার জায়গা যে যার মতন করিয়া দখলে নিয়া খালি দালানই বানাইয়াছে। দালানে দালানে নগর ভরিয়া উঠিয়াছে, বৃষ্টি দিলেই পানিতে নগরবাসী বন্ধী। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিটি কর্পোরেশন বৈঠকে বৈঠকে দিন পার করিলে হইবে না এসব উদ্ধারে কঠোর সন্ধি করিতে হইবে।

মা’গো চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে কানাচেও আকামের বহুত ‘বড় ভাই’ পাকাপোক্ত। স্কুল কলেজেও নাকি এই বড় ভাইদের দাপট। চরম অপরাধী এই বড় ভাইদের ফান্দে পড়িয়া বহুতেতো নাকি মান ইজ্জতও হারাইয়াছে। বড় ভাইরা টানা আকাম করিয়া গেলেও নেতাগোর হাই হ্যালোতে পার পাইয়া যাইতেছে। তাইজ্জব কাম হইলো প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কারাগারেও হত্যাকান্ড ঘটে। খোদ কারাগারেই যদি এইসব ঘটে কারাগার থাকিয়াও কাম কি। মা’রে এই বড় ভাই আর প্রভাবশালীদের যা আকাম প্রকাশ হইতেছে তাতে মনে হইতেছে তারা রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থারে তজ্জনী প্রদর্শন করিতেছে। রিপন নাথ হত্যার পিছনের নাটের গুরুদের পরিচয় জাতিরে জানানো দরকার।

মা’জননীগো মহামাইন্য হাইকোর্ট এর বিচারপতিরাওতো ৫২ প্রতিষ্ঠানের খাদ্যে পণ্যের তালিকা প্রকাশ করিয়া বাজার হইতে পণ্য সরাইয়া লইতে আদেশ করিয়াছেন, দুধ-দই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকাও চাহিয়াছেন। ভেজালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টতো যুদ্ধ চাহিলেন। খাদ্যপণ্যে এত ভেজাল চলিলেও দেশের নিরাপদ খাদ্য আধিদপ্তর এর কর্তারা কি মাসে মাসে বেতন লইয়া খালি লেফ-রাইট করিয়াছে। খাদ্যে ভেজাল জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নেন। ভেজাল প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করিতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাজারে যৌথ বাহিনী ছাড়িয়া দেন। জাতি বাঁচাইতে হাইকোর্টের আদেশ গুনাক্ষরে পালন করিতে আপনার মন্ত্রী, সচিবসহ দলের নেতানেত্রীগোরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।

আগুনে পুড়িয়া নুসরাত হত্যার ঘটনায় আলোচিত সমালোচিত সোনাগাজীর থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম দাদুকেতো আটক করিয়াছে শাহবাগ থানার পুলিশ। তাইনে আইনের লোক হইয়া আদালতে না যাইয়া আত্মগোপনে কেন থাকিল জাতিতো জানিতে চাহে। মোয়াজ্জেম দাদু আইনের লোক হইয়া যদি আইন-আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে তাতে জাতির সম্মানতো ক্ষুন্ন হইবে। নুসরাত হত্যার চিত্র জাতি দেখিয়াছে। মা’গো নুসরাত হত্যায় জড়িতদের এমন শাস্তি দিতে হইবে যাহাতে আর কেউ সাহস না পায়।

মা’জননীগো পাবলিক ভাবিত দেশের কিছু ব্যাক্তি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। কিন্তু যতই দিন যায় ততই দেখি জড়িত নতুন নতুন চেহারা আর পেশার অধিকারী। খাল,নদী,নালা,নর্দমা,স্থল ও বিমান পথেও এই কারবার চলিতেছে। বদি দাদু কহিলেন, গোটা দেশেই নাকি ইয়াবার ছায়াপথ চলিতেছে। মা’গো এইসবের লাগাম টানিতে কোন ছাড় নয়। জাতি বাঁচিলে দেশ বাঁচিবে। এই আকামকারী যারা ধরা খাইয়াছে, মরিয়াছে, পলাতক রহিয়াছে তাইনেগোরে চিহ্নত করিতে গোটাদেশে ছবিসহ পোস্টারিং করনের আদেশ দেন। মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের মেধা ধ্বংস করিতেছে, সম্মান নষ্ট করিতেছে তাঁগোর কোন ক্ষমা নয়। মা’গো মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নয়, বিন্দু টলারেন্সের ঘোষাণা দেন।

সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাইয়া দেশের ব্যাংক ওয়ালারাতো মনে হইতেছে আলদ্বীনের চেরাগ পাইয়াছে। সুদ খাইতে খাইতে, পাবলিক চুষিতে চুষিতে তাইনেগোর যেন পেট ভরে না। খালি খাই আর খাই, এ যেন রক্ষচোষা আরেক মহা জোঁকের দল। নিজের টাকা রাখিয়াও ব্যাংক স্বচ্ছল সনদ লইতে প্রায় ৬শত টাকা গুনিতে হইতেছে। এইভাবে চলিলে পাবলিককে কি ভুতে কিলাইছে ব্যাংকে টাকা রাখনের। যা দেখিতেছি সঞ্চয়পত্র হইতেও পাবলিক মুখ ফিরাইয়া নিবে। মা’রে নিজের টাকা রাখিয়া যদি অত্যাচারের শিকার হয় তয় ব্যাংকে যাওনের দরকার কি। এই অত্যাচারে পাবলিকের ঘরে ঘরে মাটির ব্যাংক বাড়িলে অর্থনৈতিক চাকার খবরও আছে। বিষয়টি ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২৩জুন- ২০১৯খ্রীঃ