শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার অপরিহার্যতা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ইনফরমেশন এন্ড কম্যুনিকেশন টেকনোলজি ) আইসিটি একটি সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য শিক্ষা যন্ত্র। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকারিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত করা হয়েছে। স্কুল ব্যবস্থায় শিক্ষা দানের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় কাজকর্ম দ্রুত ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক টেকনোলজিতে দক্ষ করার লক্ষে সারা বিশ্বজুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়োগ করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি কি?
তথ্য কথার ইংরেজি অর্থ হল ইনফরমেশন আর প্রযুক্তি কথার অর্থ হল টেকনোলজি। তথ্য প্রযুক্তি বলতে তথ্য সংগ্রহ, তথ্য যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিতরণ, আধুনিকীকরণ সম্পর্কযুক্ত প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তি।
সাধারণ অর্থে তথ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তি বলা হয়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজন কেন?
শিক্ষা জ্ঞান বৃদ্ধির ও সমাজে প্রযুক্তির অগ্রগতির পাশাপাশি শিক্ষার দক্ষতা প্রয়োজন। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারঃ
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
নতুন তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা ও শিক্ষার ঐতিহ্যগত প্রক্রিয়া এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিচালিত করে। এটি শিক্ষণ দক্ষতা এবং শেখার ক্ষমতা উন্নত করার জন্য প্রচুর পরিমাণে সম্পদ সরবরাহ করে। নিম্নে রইল শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার –
সুপারিশ নিবন্ধন :-
নতুন প্রজন্মের টেকনোলজি ও বিজ্ঞানের ব্যবহার
কম্পিউটার এর সুবিধা ও অসুবিধা ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ন্যানো টেকনোলজি কাকে বলে ও ব্যবহার
নতুন প্রযুক্তির স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা ৫ টি পয়েন্ট
মহিলাদের জন্য গ্যাজেটঃ কর্মরত মহিলাদের গ্যাজেট
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি এবং তার সুবিধা ও অসুবিধা
শিক্ষাগত জীবন সহজ করে তোলার জন্যঃ
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার একটি সুবিধা হল সকলের জীবনকে সহজ করে তোলা। সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আপনি স্কুলের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচলনা করতে সক্ষম।
ডিস্টেন্স শিক্ষণঃ
একক চাহিদার সঙ্গে পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার মানিয়ে নিতে এবং জনসংখ্যা বিষায়ক পরিসেবা সরবরাহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিযুক্ত করেছে।
অনলাইন কোর্সগুলি বেশিরভাগ কর্মী বা তরুণ প্রজন্মকে ডিস্টেন্স শিক্ষণ পরিষেবা দিয়ে থাকে।
রেকর্ড সুরক্ষিত থাকেঃ
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের রেকর্ড আরও সুরক্ষিত পদ্ধতিতে রাখা সম্ভব হয়ে উঠেছে। আগেকার দিনে রেকর্ডগুলি ফাইলে রাখা হত যা হারিয়ে যাওয়ার প্রবণটা বেশি থাকত। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থায় রেকর্ডগুলি কম্পিউটারইজ করে রাখার ফলে হারানোর ঝুঁকির প্রবণতা কম থাকে।
জ্ঞান অর্জনঃ
এই টেকনোলোজির দুনিয়ায় অনলাইনে জ্ঞান অর্জন করা যায় । অনলাইন আলোচনা ফোরামের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে পারে পাশাপাশি একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে।
অনলাইন লাইব্রেরি তথ্যঃ
ইন্টারনেট হাজার হাজার পরিষেবা প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে একটি হল অনলাইন লাইব্রেরি। যার থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণ তথ্য পেয়ে থাকি। তথ্য প্রযুক্তির পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে, শিক্ষার্থীরা গবেষণারর সাজসরঞ্জাম হিসাবে কম্পিউটারকে বিবেচনা করে থাকে।
মাল্টিমিডিয়া শিক্ষাঃ
উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা অর্জন করতে পারি। অডিও ভিজুয়াল শিক্ষা, পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, এবং, সামগ্রী, শব্দ শিক্ষাগত উদ্দেশ্যের সঙ্গে জড়িত।
ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কাজেঃ
সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কোন সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবিত করবে তা খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সাহায্য আসতে পারে।
এটি স্কুলের প্রতিবেদনগুলি বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেও ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট তৈরি করতেঃ
ক্যাম্পাসের বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা পরীক্ষা করার জন্য , একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাসিক রিপোর্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। শিক্ষার্থীদের রিপোর্টগুলি আরও উন্নত করার জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রযুক্তি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেঃ
কম্পিউটার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা যা শিখছে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেহেতু কম্পিউটার মানুষের তুলনায় ধৈর্যশীল তাই শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সঙ্গে সহজেই শিখতে পারে। কম্পিউটার টেকনোলজির মাধ্যমে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা প্রদান করে। এবং শিক্ষার্থীরাও গবেষণা করতে পারেন। এতে তাদের পড়াশুনোর ক্ষেত্রে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে সুবিধাজনক।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি বিভাগঃ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি বিভাগ সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আইসিটি বিষয়ে দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলে।
তেমনি সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রয়োগ/ব্যবহার করতে কাজ করে থাকে। এজন্য সরকারি সহায়তায় বিভিন্ন সময় আইসিটি বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছে। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি বিভাগ দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। তা সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি বিভাগ সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধি/প্রয়োগ/ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণকে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন সময় দক্ষতা বৃদ্ধির ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করতে আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। সরকারে পরিকল্পনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি বিভাগ সরকারের সহায়তায় পর্যায়ক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা। তেমনি সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে পর্যায়ক্রমে আইসিটি প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশাসনিক দক্ষ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষককে পর্যায়ক্রমে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি বিভাগ মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি করে শিক্ষা ব্যবস্থায় সার্বিক উন্নয়ন কাজ করছে।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার শিক্ষা ক্ষেত্রকে আরও উন্নত পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
লেখক পরিচিতি : প্রদর্শক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)
জয়লা জুয়ান ডিগ্রী কলেজ, শেরপুর, বগুড়া।