যাউগ্গা পোলার দূর্নীতিতে বাবাও যে অতিষ্ট হেইডা পুরিস্কার হইলো, চিন্তায় আছি…
ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে আবারো হাজির হইয়াছি। কোভিট-১৯ তো কষিয়া চালাইতেছে। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা ক্রমান্বয়ে লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে কঠোর দমন নাই, নিপীড়ন, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি অভিযোগ আর অভিযোগ। আমিও শাররীক মানসিক অর্থনৈতিক বেকায়দায়, শক্ত করিয়া কলমও ধরিতে পারিতেছিনা। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। ভাইপো-রে বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কারমতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….
ভাই পোরে ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর পাবলিকের ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তাই চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের কথা লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিল তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া ব্লেক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। এত সেবা করিতে হইলে জেঠার অবস্থাটা কে দেখিবে। রাইতে জেঠিরে দু চারটি কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি হইয়া পড়ে। পাহাড় পর্বতের খেটে খাওয়া মানুষ অমানুষগোর সুখ দুঃখের খবর হ¹ল জেঠাগোর নিকট উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। নতুন করিয়া বিশে^র ভাইরাস করোনাতো কারো কথাই শুনিতে চাহে না। খালি ধরে আর মারে। মরিলে নাকি ছুতেও পারে না। মানুষের দেহে থাকা ভাইরাসগুলোর মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং আপাতত বাদ। যত নষ্টের মূল হইলো করোনা। বেকার এই ছোট্ট জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, খুবই চিন্তায় আছি…
আমাগো বাঘাইছড়ি উপজেলার গুচ্ছ গ্রামের জেঠা জেঠিরা তাইনেগো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমন রাসেলের বিরুদ্ধে খাদ্যশস্য আর অর্থ লুপাট করিয়াছে বিলয়া অভিযোগে গণস্বাক্ষর হইয়াছে। তার বিরুদ্ধে বহুত আগেও অভিযোগের লাইন লম্বা আছিল। এইবার খোদ তাঁর বাবাও ছেলে দূর্নীতিবাজ বলিয়া জানাইয়াছে। যাউ¹া পোলার দূর্নীতিতে বাবাও যে অতিষ্ট হেইডা পুরিস্কার হইলো, চিন্তায় আছি…
বাঘা জেঠা কিহলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার জয়ন্ত জেঠা (৮৩) আর সোনা জেঠি (৭৮) পরপারে যাইবার সময় হইয়াও এখনো বয়স্কভাতা না পাওয়ার অভিযোগ করিয়াছেন। ভাতার জইন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারমন মেম্বরদের দুয়ারে দুয়ারে ধর্না দিয়াও ফলাফল শুন্য। আর কতো ধর্না দিলে ফলাফল পুন্য হইবে প্রশ্ন করিয়াছে। আমাগো উপজেলা নির্বাহী জেঠা শেষ বয়সের ভাতা প্রদানে আগাইয়া যাইবেন কিনা, চিন্তায় আছি…
দেব জেঠা কহিলেন, খাগড়াছড়ি মেডিকেলের ডাক্তারগণ বহুকষ্টের বিনিময়ে বীণা চাকমাকে প্রাণে বাঁচাইয়াছেন। বীণার পেটে হইতে ৪৫ কেজি ওজনের টিউমার বাহির করিয়া চমক সৃষ্টি হইয়াছে হাসপাতালে। সুস্থ বীণা ডাক্তার নার্স তাঁর সহযোগীদের প্রাণ ভরে দোয়া আর্শিবাদ করিয়াছেন। দরিদ্র ঘরের মেয়ে বীণা এখন সুস্থ। যাউ¹া খাগড়াছড়ি মেডিকেলের ডাক্তারগণের জইন্য রইলো মহা আর্শিবাদ। জেঠা-জেঠিরা এখন চিকৎসা লইতে আর ভয় পাইবে না। হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিপূর্ন করনের দরকার, চিন্তায় আছি…
আমাগো আলম জেঠা কহিলেন, পৌরজেঠা-জেঠিগোর বাসাবাড়ির ময়লা ফেলার জন্য জেলা পরিষদের স্বেচ্ছা দেয়া ডাস্টবিন খালি পড়িয়া রহিয়াছে। পৌরসভা ময়লা পুরিস্কার করিবেনা বলিয়া মেয়র জেঠার কথায় সেবক জেঠা-জেঠিরাও চুপচাপ রহিয়াছে। ডাস্টবিন লইয়া জোরেসোরে রাজনীতি চলিতেছে। কে কারে হঠাইবে তলে তলে বহুত তালিমালিও চলিতেছে। যা মনে হইতেছে দুই জেঠার ঠেলাগুতোয় বাসাবাড়ির ময়লা রাস্তা-ঘাটে গড়াগড়ি করিবে, চিন্তায় আছি…
আলম জেঠা কহিলেন, লংগদু উপজেলার গাউসপুর এলাকার সেতু মেরামত না করিলে তিন ইউনিয়নের সত্তর হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িবে। ভাঙ্গা ব্রীজের উপর দিয়া চলাচল করিতেছে হ¹লে। যদি খসিয়া পড়ে ব্রীজ মানুষ একই সাথে হ্রদে ভাসিয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…
আলী জেঠা কহিলেন, পাহাড়ের গাঁও গেরামের আর কোন জেঠা-জেঠি চেরাগ লইয়া রাইত কাটাইতে হইবে না। আমাগো প্রধানমন্ত্রী জেঠি হ¹লের পহরের জইন্য সৌরবিদ্যুৎ পৌছাইয়া দিবে। পাহাড়ের উন্নয়নের মহা পুতিষ্ঠান উন্নয়ন বোর্ড এ কাজ চালাইয়া যাইবেন। কথা হইলো সঠিক কাজ হইলে ফঠিকরাও আর বদনামী করিতে পারিবেনা, চিন্তায় আছি…
রউফ জেঠা কিহেলন, মেধাবী শিক্ষার্থী মোঃ কাউসারুল ইসলামের চিকিৎসার জইন্য তার পাশে দাঁড়াইল সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন আর খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। কাউসারুল ইসলামের চিকিৎসা ব্যয় করিতে তার পিতা মাতার নিকট গেল বুধবার তাঁর চিকিৎসায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার চেক প্রদান করিয়াছে তাইনেরা। যাউ¹া মানবতার পক্ষে মহামনের এই অধিকারীদের সার্বিক উন্নয়ন হউক। বাকী অসহায়রাও এই ধরনের সুযোগ পাক, চিন্তায় আছি…
রফিক জেঠা কহিলেন, লামায় ম্রো জনগোষ্টির সম্পদ হনন করিতে পুঁজিপতিরা কোমড় বান্দিায় নামিয়াছে। নানান কিচিমের পুঁজপতিরা নানান ফন্দি আঁটাইয়া ক্ষুদ্র এসব জনগোষ্টিরে খালি লেন্সুসের মতন চুষিয়াই যাইতেছে। এইসব লুটেরা পুঁজিপতিগোরে দলে বলে উচ্ছেদ করনের দরকার, চিন্তায় আছি…
সুশান্ত জেঠা কহিলেন, আলীকদমে দুই পাথর ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠাইয়াছে ভ্রাম্যমান আদালত। মোঃ জয়নাল (২৮), মোঃ ছৈয়দ আলম (২৯) পাহাড়ের পাথর খুলিয়া বাইরে বিক্রি করিতেছে বহুত আগে থেকেই। প্রশাসনের কর্তারা নানান অভিযোগ পাইয়া শেষ পর্যন্ত পাথর পাচারকারী এই দুই ব্যক্তিকে কারাগারে ভরিয়াছে। পাহাড়েতো বহুতে লুটপাট চালাইতেছে সিরিয়াল করিয়া তাঁগোরেও জেলে ভরনের দরকার, চিন্তায় আছি…
সাজ জেঠা কহিলেন, বাঘাইছড়ি বন বিহারের ভিক্ষুকে রাইতের অন্ধাওে কোপাইয়া বিহারের দানীয় নগদ ৫গ হাজার টাকা লুট করিয়া চোরের দল পলাইয়াছে। গেল বুধবার এ জঘন্য ঘটনা লইয়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দরাও থানায় অভিযোগ করিয়াছে। ব্যটা চোরের দল শেষ মেস দানের ভান্ডে হামলা করিয়াছে। তাঁগো ধরিতে পারিলে কষিয়া ডান্ডা চালনের দরকার, চিন্তায় আছি…
জেলারা বাসা-বাড়ি মালিকরা করোনার এই বিপদ সময়ে মানুষের ভাড়া লইয়া টানা হেঁচড়া না করিতে। এমনিতেও শহর হইতে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা নিজ নিজ গ্রামে চলিয়া গিয়াছে। এই পরিস্থিতিতে বকেয়া ভাড়া মওকুফেরও আহ্বান করা হইয়াছে। কথা হইলো বাসা-বাড়ির মালিকরা মানুষকে চুষিয়া খাইতেছে। বছরে বছরে ভাড়া বাড়াইয়াই যাইতেছে এই কান্ডে প্রশাসনের কর্তা জেঠারাও চুপচাপ রহিয়াছে। এত বাড়াবাড়িতে ম্যাজিস্ট্রট নামাইয়া তল্লাসী করনের দরকার, চিন্তায় আছি…
তঞ্চঙ্গ্যা জেঠা কহিলেন, আলী কদমের চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে ব্রীজ করিলেও জেঠা জেঠিরা এইবার ব্রীজে উঠিতে বাঁশে মই লাগাইয়াছে। লক্ষ লক্ষ টাকার ব্রীজ বানাইয়া যদি মই দিয়া ব্রীজে উঠিতে হয় তয় মাঠিই ভালা আছিল। ব্রীজ হইয়াছে কিন্তু দুই পাশের মাঠি নাই। যা মনে হইতেছে ঠিকাদার কাজের টাকা বুঝিয়া পাইয়া মাটি না দিয়াই পলাইয়াছে, চিন্তায় আছি…
ইন্দ জেঠা কহিলেন, শহরের টেকনিকেল ট্রেনিং সেন্টারে কাইজ কামে বহুত তালগোল চলিতেছে। বস্গোর বিরুদ্ধেও ফস ফস করিয়া কানাঘুষো চলিতেছে। হেই খানে নাকি কাইজ না করিয়াও ভান্ডারের টাকা খরচের খাতায় উঠিয়াছে। যা মনে হইতেছে শহরের এই এক কোনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি কারো নজর নাই। এক ছাত্র জেঠাতো কহিলো শক্ত করিয়া হ¹ল হিসাবের তল্লাসী করনের দরকার। যা মনে হইতেছে ট্রেনিং এ ট্রেনিং এ চুরির ট্রেনিংও হইতেছে, চিন্তায় আছি…
আলম জেঠা কহিলো শহরের কলেজ গেইট এলাকায় সড়ক বিভাগের জায়গা উদ্ধার করিতে ভ্রাম্যমান আদালত কাজে নামিয়াছে। সড়ক বিভাগ জানাইয়াছে সরকারি জায়গা দখল করিয়া বহুতে ব্যবসা করিয়া আসিলেও এখনো দখল ছাড়ে নাই। স্থানীয় জেঠা জেঠিরা কহিলো সড়ক বিভাগের ত্রিভুজ আকৃতির জায়গাটাওতো বেদখলে তলে তলে বহুতে যোগসাজস করিয়া ভাড়া খাইয়া অন্যেরটা উচ্ছেদ হইলে বাকীরা কেন বাদ যাইবে। যা মনে হইতেছে চোরা কর্মচারীরা সরকারি বেতনও পায় জায়গা ভাড়াদিয়া মাসোয়ারও খায়, চিন্তায় আছি…
ভাইপো রে পার্বত্য এলাকায় আরো কতো কান্ডকারখানা দেখিতে শুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁদাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….
ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
২৬ জুলাই, ২০২০ খ্রিঃ