[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমন্বয় জরুরী

৮৩

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রতি বছরই সরকার শত শত কোটি টাকা বারাদ্দ দিয়ে আসছে। তাই ব্যাপক উন্নয়নে এখানে জনপ্রতিনিধিত্বশীল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাৎসরিক উন্নয়নে একটি ফরমায়েশ করছেন অর্থাৎ প্রতি বছরই বাজেট ঘোষনা করছেন। আবার দান খয়রাতের টাকায় দেশী বিদেশী এনজিওগুলোও জনগনের উন্নয়নে তাদের মতই করে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসলেও উন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ, আপত্তি, সমন্বহীনতার প্রশ্ন উঠে আসছে।

দেখা যায় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদসহ পৌরসভাগুলো প্রতিবছরই তাদের উন্নয়ন বাজেট ঘোষনা করছেন। রাস্তাঘাট, কালবার্ট, ব্রীজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ, বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রন্ত ব্যাক্তি ব্যাক্তিনীদেরও উন্নয়ন করে আসছেন। প্রশ্ন উঠে আসছে বা অভিযোগ থাকছে এসব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কোন কোন উন্নয়ন দৃশ্যত হলে কোন কোন উন্নয়ন অদৃশ্য। আবার উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোরই দাবি উঠে আসছে সমন্বয়হীনতার কারনে উন্নয়ন সম্পর্কের বিষয়ে অজানা থাকছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে কর্মরত দেশী বিদেশী এনজিওগুলো তাদের উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে আসলেও কোথায় কখন কিভাবে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছেন তা নাকি অজ্ঞাত এবং অদৃশ্য। সেই সাথে আবার জাতীয়ভাবেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছেন।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় জাতির উন্নয়নে সারাদেশে একশতটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ করছে। কারিগরি শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এবং তৃনমূল পর্যায়ে এ শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণের কাজ হাতে নেয় ২০১৭ সালে। যার মধ্যে ৯০টির কার্যাদেশ দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে। যার মধ্যে পার্বত্য রাঙ্গামাটির উপজেলা কাউখালীতেও এ প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে। এটি আমাদের সন্তানদের কারিগরি শিক্ষাতেও দক্ষ করে তুলতেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ। কিন্তু এ উন্নয়ন কাজ প্রাথমিক শুরু করেই গত দেড় বছর ধরে বন্ধ। জানা গেছে এরই মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু টাকাও বিল আকারে তুলেও নিয়েছেন। কাজ বন্ধের কারণ হিসেবে জানা গেছে সন্ত্রাসীদের চাঁদা দাবির কারনে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে এভাবেই কিছু উন্নয়ন কাজ যেমন বন্ধ থাকছে তেমন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার কারনে তা চরমভাবে ব্যঘাতও সৃষ্ঠি হচ্ছে। যার কারনে জনগনই তাদের উনয়ন হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন যে যার মতই করে চলছে। প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট ঘোষনা করলেও বড় বড় শুভংকরের ফাঁকি থেকে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও এক প্রজেক্ট বিভিন্ন প্রতিষ্টান গ্রহন করাতে কেউ করছে আবার কেউ না করেই অর্থ লুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান, দেশী বিদেশী এনজিও প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন কাজে সমন্বয় না করলে একদিকে অর্থের ক্ষতি অন্যদিকে জনগন হচ্ছে উন্নয়ন বঞ্চিত। সেই সাথে বাড়ছে প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে ক্ষোভ ও দূর্নীতি। তাই সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রত্যেকের সমন্বয় জরুরী।