[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্থিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে ওয়ার্ল্ড পীস্’র মানববন্ধনঢাকা রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব পালন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ফুল বিঝু‘র র‌্যালী ও মাইনী নদীতে ফুল দিয়ে গঙ্গাদেবীকে পূজাবাঘাইছড়িতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও কাচালং নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিঝু শুরুপাহাড়ের বিঝু মেলাতে পাঁজন তরকারি খুবই জনপ্রিয়দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ব-বৃহৎ কো-অপারেটিভ ‘মৌচাকের’ ৩০ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিতবান্দরবানের আলীকদমে মাতামুহুরী ও তৈন খালে ফুল ভাসিয়ে বিষু-বিজু উৎসব শুরুবান্দরবানে গত তিন মাসে অপহৃত হয়েছে ৪৯জন, আতঙ্কে স্থানীয়রাপাহাড়ের সময় অনলাইন পোর্টাল আগামী ৭২-৯৬ ঘন্টা বন্ধ থাকবে
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত কেন

১০১

অপ-রাজনীতি, অবৈধ অস্ত্রের মহড়া, পেশী শক্তি, চাঁদাবাজী, অপহরণ, গুম ও হত্যাকান্ডে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে নিমজ্জিত করা হচ্ছে। এখানে প্রতিহিংসার রাজনীতি দিন দিন প্রকটই হচ্ছে। আধিপত্য বিস্তার অপ-ক্ষমতার দ্বন্ধে প্রতিনিয়ত তাজাপ্রাণ মৃত্যুর সারিতেই পতিত হচ্ছে। লুটপাট আর দূর্বৃত্তায়নের রাজনীতিকে নিজেদের কব্জায় রাখতে এখানে যুবকদের হাতে অস্ত্র সমর্পন করা হচ্ছে। লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে সাধারন মানুষের অধিকারকে নির্যাতন নীপিড়ণ আর লুটপাট করতে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরতিহীনভাবেই আধিপত্য আর অপ-ক্ষমতাকে ধরে রাখতে প্রতিপক্ষদের হত্যার প্রতিযোগীতা চলছে। হঠাৎ করে আবারো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে।

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এসব অপ-রাজনীতি, ক্ষমতা, দূর্বৃত্তায়নের কারণে এখন সাধারণ মানুষ তাদের জীবন জীবিকা নিয়েও দিশেহারা অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ব্যাক্তি ও ব্যক্তিনীরাও সঙ্কিত। এখানে দূর্বৃত্তায়নের মদদদাতারাই ঠিক করছে কে কোন দলের সাথে থাকবে বা থাকবে না, কে বাঁচবে কে বাঁচবেনা। পার্বত্য চট্টগামের মানুষের মতামতকে যদি দূর্বৃত্তায়নের মদদ দাতারাই পরিচালিত করে তাহলে এ রাজনীতি থেকে মানুষ কি আশা করতে পারবে। মানুষ এখানে সুষ্টু রাজনীতি চায়, সুস্থ জীবন চায়, সুন্দর সমাজ চায়, হিংসা হানাহানি ধংসাত্মক কর্মকান্ডের ধংস চায়। অসহায় মানুষ অপকর্মকান্ডের সুষ্টু বিচার চায়, জবাবদিহি চায়, সুন্দর জীবন ধারার অধিকায় চায়।

গেল মঙ্গলবার বান্দরবান সদর উপজেলার বাঘমারা এলাকায় জনসংহতি সিমিতির এমএন লারমা সমর্থকের নিহত ৬ জন এবং পরে দিনও সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক নারী নিহত হওয়ার ঘটনায় বান্দরবানের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠছে। দূর্র্বত্তদের হুমকীর কারণে রীতিমত দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। অর্থাৎ মানুষের রাজনৈতিক মৌলিক অধিকারকে তারা গলা টিপে হত্যা করছে। এখন যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতি এখন অস্ত্রবাজ, অপ-ক্ষমতা আর দূর্বৃত্তদের কাছে জিম্মি।

আরো লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে দূর্র্বত্তদের হুমকীর কারণে আইনসৃংখলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের জনস্বার্থের সকল প্রকার কাজকর্মকে স্থবিরতার সৃষ্টি করছে, কোন কোন সময় তা করে রাখছে এবং এ স্থবিরতাকে দীর্ঘস্থায়ীও করতে চাচ্ছে। কিন্তু এ সবের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল প্রকার উন্নয়ন মানুষের নৈতিক অধিকার বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে রাজনৈতিক পরিবেশ, চর্চা আরো প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পড়বে। এ প্রতিহিংসা রাজনীতির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকেই ধাবিত হবে। দূর্বৃত্তায়ন এবং পেশী শক্তির রাজনীতির কারণে আইনসৃংখলার যেমন অবনতি হবে তেমন মানুষের মৌলিক অধিকারও বাঁধাগস্ত হবে। গত মঙ্গলবারের হত্যাকান্ড ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত কেন প্রশ্ন উঠছে।